মুনসাং হয়ে কালিম্পং


রবিবার,০২/০৭/২০২৩
7474

অস্মিতা বসু: অফিস থেকে বাড়ি আর বাড়ি থেকে অফিস- রোজকার এই কর্মব্যস্ত একঘেয়ে রুটিন থেকে একটা দিন মুক্তি পেয়ে তিন বন্ধু মিলে ঘুরে এলাম কালিম্পং ও মুনসাং গ্রাম থেকে। কর্মসূত্রে সিকিমে থাকি, তাই জায়গাগুলো অনেকটা কাছেই হয়। তাই একটা গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়লাম। সত্যি কথা বলতে, মুনসাং গ্রামটা আমাদের গন্তব্য ছিল না। আমরা খানিক উদ্দেশ্যহীন ভাবেই বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় যেতে যেতে এই গ্রামের দেখা পাই। ছোট্ট সুন্দর সাজানো গোছানো পাহাড়ি গ্রাম মুনসাং। খোঁজ নিয়ে জানলাম এখানের বেশিরভাগ বাড়িই হোমস্টে হিসাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

সিকিমে থাকলেও আমরা থাকি রংপোতে। অবস্থানগত ভাবে নিচে ও পাহাড় দিয়ে ঘেরা হওয়ার জন্য গরমে ও বর্ষায় এখানে ভালোই গরম পড়ে। কিন্তু এখান থেকে আমাদের গাড়ি যত উপরে উঠতে লাগল ততই পাইন গাছের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলল মেঘেদের আনাগোনা। গরম কমে গিয়ে শীত শীত হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করল। পাইন বনের ভিতরের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে পাইন গাছের জঙ্গলে মেঘেদের খেলা মন কেড়ে নিতে বাধ্য করে। একনিমেষে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এই অনুভূতি কোনোদিনও পুরোনো হবার নয়।

পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে একটা বাঁক পেরোতেই পড়ল একটা নাম না জানা ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে দেখা সেই অসাধারণ দৃশ্য হয়তো কিছুটা ছবি দেখে বুঝতে পারবেন। লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। অনেকক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে, সময় কাটিয়ে আবার এগিয়ে চললাম। পথে জঙ্গলের ধারে একটা ছোট্ট চায়ের দোকানে বসে চা আর মোমো খেতে খেতে দেখা মেঘেদের খেলা মনটাকে না জানি কোথায় নিয়ে চলে যাচ্ছিল। অনেকটা সময় ওই ছোট্ট দোকানটায় বসেছিলাম।
তারপর ঝিরঝির বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এগিয়ে চললাম ডেলো পার্কের দিকে। এই পার্ক নিয়ে আমার বিশেষ কিছুই বলার নেই। কারণ কমবেশি সবাই ডেলো পার্ক ঘুরেছেন। কিন্তু একটা সুন্দর আবহাওয়া একটা সাধারণ জায়গাকেও কতটা অসাধারণ করে দিতে পারে সেটা প্রত্যক্ষ করলাম। তারপর গেলাম মর্গ্যান হাউস। সেখানে রাতে না থাকলে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। তাই বাইরে থেকে দেখে ও ছবি তুলেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

যাইহোক, এবার ফেরার পালা। খুব ছোট সাধারণ একটা ট্রিপ ছিল। কিন্তু দিনশেষে এটাই উপলব্ধি করলাম যে, আমাদের দরকার শুধু একটু সময় বার করে বেরিয়ে পড়া। প্রকৃতি তৈরী হয়েই থাকে আমাদের আপ্যায়ন করার জন্য। হয়তো যতটা ভেবে যাই তার থেকেও আরও অনেক অনেক সুন্দর ভাবে।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট