মাম্পস হলে ভাইরাসজনিত প্যারোটিড নামের লালাগ্রন্থির প্রদাহ। এটি অত্যন্ত সংক্রামক (ছোঁয়াচে)। হাঁচি-কাশির (ড্রপলেট) মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এর ফলে জ্বর, মাথা ব্যথার সঙ্গে কানের সামনে ও নিচে বা চোয়ালের ওপরে দুই পাশে লালাগ্রন্থি ফুলে যায়, খাবার গিলতে বা চিবাতে ব্যথা হতে পারে।
এটি সাধারণত শিশু-কিশোর বয়সে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দেরও হতে পারে। শীতের শেষ ও বসন্তের শুরুতে বেশি দেখা যায়। ভ্যাকসিন আসার আগে এটি প্রচুর দেখা যেত।
প্রচলিত এমএমআর (মাম্পস, মিজেলস, রুবেলা) ভ্যাকসিনের কল্যাণে এর প্রকোপ অনেকটাই কমে গেছে। তাই প্রতিটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া প্রয়োজন। এক ডোজ ভ্যাকসিন শতকরা ৮০ ভাগ রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কী কী? ভাইরাস শরীরে ঢোকার ১২ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে রোগ প্রকাশ পায়।
৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অপর পাশে ফুলতে দেখা যায়। এই ফোলা ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কী কী জটিলতা হতে পারে?
সাধারণ লক্ষণ-উপসর্গের বাইরেও কিছু জটিলতা হতে দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো লক্ষণ-উপসর্গ ছাড়াই যেকোনো জটিলতা নিয়ে মাম্পস প্রকাশ পেতে পারে।
জটিলতাগুলো
অরকাইটিস (অণ্ডকোষে প্রদাহ) : এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এতে ছেলেদের অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এক পাশে বা উভয় পাশে হতে পারে। উভয় পাশে হলে পরবর্তী সময়ে বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
ওফোরাইটিস (মেয়েদের ডিম্বাশয়ে প্রদাহ) : এতে মেয়েদের তলপেটে ব্যথা, জ্বর ও বমি হয়। কিছু ক্ষেত্রে স্তনে প্রদাহ হতে দেখা যায়।
প্রধান কারণগুলো কী কী?
প্যারামিক্সো ভাইরাস ফ্যামিলির ভাইরাসের কারণে মাম্পস হয়। এই ভাইরাসটি হাঁচি-কাশি বাতাসের মাধ্যমে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ বা ব্যবহৃত জিনিসের (ফোমাইট) মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে। তাই এটিকে খুবই ছোঁয়াচে রোগ বলা যায়।
কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
চিকিৎসা
এটি একটি সনিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। বেশির ভাগ রোগী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরাসরি নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। রোগের লক্ষণ-উপসর্গ অনুসারে রোগীর কষ্ট লাঘবে ভাইরাসজনিত অন্য কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
এই রোগটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হওয়ায় অ্যান্টিবায়োটিকের তেমন কার্যকারিতা নেই। শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা ভালো থাকলে নিজে থেকে সেরে ওঠে। চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীরা নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন-
প্রতিরোধ
মিজেলস, মাম্পস, রুবেলার (এমএমআর) টিকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সিডিসির পরামর্শ অনুসারে সব শিশুকে দুই ডোজ এমএমআর টিকা দেওয়া উচিত। প্রথমটি ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সে এবং দ্বিতীয়টি চার থেকে ছয় বছর বয়সে। সংক্রমিত ব্যক্তির জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে হাঁচি-কাশির সময় তাদের মুখ ও নাক ঢেকে রাখা, যাতে অন্য ব্যক্তির মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।
২৪ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে সিএএ। বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে…
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এবার নয়া মোড়। সন্দেশখালি আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা ঘটেছে সম্পূর্ণটাই…
বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলবিরোধী কথা বলছিলেন। বিশেষ করে…
বিজেপির বিজ্ঞাপনে 'ধর্ম' হাতিয়ার, নির্বাচন কমিশনের নজরে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট…
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয়েছে বলে মিথ্যে রটনা শুরু হয়েছে। বিগত বছরে এমন কোন মাশুল বৃদ্ধি…
হেলিকপ্টারে হঠাৎ আগুন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান অভিনেতা তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব। তবে…