পহেলগাঁও-এর বৈসরন উপত্যকা, যাকে অনেকেই “মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড” বলে ডাকেন, তার সৌন্দর্য যেমন মন কাড়ে, তেমনি তার ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিবাহিনী এই এলাকাকে বেছে নেওয়ার পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ থাকতে পারে:
১. ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা ও ঘন বনাঞ্চল
বৈসরন উপত্যকা ঘন পাইন বনের মাঝে অবস্থিত, যা সহজে নজরে পড়ে না এবং উপগ্রহ চিত্রেও গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। এরকম দুর্গম জায়গা নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়াতে সুবিধাজনক।
২. অ্যাকসেস বা প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ
এই অঞ্চলের সীমিত এবং নিয়ন্ত্রিত প্রবেশপথ থাকার কারণে জঙ্গিবাহিনী চাইলে সহজেই আসা-যাওয়ার পথ পর্যবেক্ষণ করতে পারে ও প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
৩. সীমান্তবর্তী অবস্থান
পহেলগাঁও কাশ্মীর উপত্যকার এক প্রান্তে অবস্থিত। পাকিস্তান সীমান্ত (LoC) থেকে তুলনামূলকভাবে খুব দূরে নয়। ফলে অনুপ্রবেশ বা অস্ত্র সরবরাহের জন্য এটি কৌশলগতভাবে উপযোগী স্থান হতে পারে।
৪. পর্যটনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সুযোগ
এই এলাকা জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হওয়ায় এখানে লোক চলাচল স্বাভাবিকভাবে বেশি থাকে। সেই আড়ালে সহজেই সন্দেহজনক কার্যকলাপ গোপন রাখা যায়।
৫. আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক সহায়তা
পাহাড়ি ঠান্ডা আবহাওয়ায় দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকা সম্ভব হয়, এবং উচ্চতা ও জঙ্গলের কারণে ড্রোন বা হেলিকপ্টার নজরদারিতেও অসুবিধা হয়।
এইসব কারণ মিলিয়েই বৈসরন উপত্যকা মাঝে মাঝে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বেছে নেওয়া হয়। তবে এই এলাকায় সেনাবাহিনীর নজরদারি আগেও ছিল এবং ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।