এই সপ্তাহে টলিউডে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’। মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ছবিটি নিয়ে জল্পনা এখন শুধুই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানার বিষয় নয়, বরং প্রশ্ন উঠছে, কেন ‘নন্দন’-এর পর্দায় জায়গা পেল না এই ছবি?
টলিপাড়ার প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে ‘নন্দন’-এ শো পাওয়া একধরনের সম্মান বলেই বিবেচিত হয়। কারণ একটাই—‘নন্দন’ মানেই একদিকে সরকারি অনুমোদন, অন্যদিকে শহরের সংস্কৃতিমনস্ক দর্শকদের কাছে পৌঁছনোর সম্ভাবনা। কিন্তু ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’ প্রথম সপ্তাহেই সেই সুযোগ পেল না।
যদিও সব বাংলা ছবি যে মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ‘নন্দন’-এ জায়গা পায়, এমন নয়। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে ‘নন্দন ১’-এ চলছে ‘কিলবিল সোসাইটি’, ‘পুরাতন’ ও ‘দুর্গাপুর জংশন’। অন্যদিকে, ‘নন্দন ২’-এ শো পাচ্ছে ‘হাঙ্গামা ডটকম’, ‘অন্নপূর্ণা’ ও ‘আড়ি’। ফলে দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’-এর জন্য দরজা খুলতেই পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, মিঠুনের মতো অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় অভিনেতার ছবি হলেও কেন অবজ্ঞা ‘নন্দন’-এর তরফে? এই প্রশ্ন অনেককেই ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ২০২২ সালে, যখন দেব ও মিঠুন অভিনীত ‘প্রজাপতি’ ছবিকে ‘নন্দন’-এ জায়গা দেওয়া হয়নি। অতনু রায়চৌধুরীর প্রযোজনায় ও অভিজিত্ সেনের পরিচালনায় সেই ছবিটি নিয়ে তখন প্রবল বিতর্ক হয়েছিল—সরকারের পক্ষপাতিত্ব নাকি শিল্পীর রাজনৈতিক অবস্থান, তা নিয়ে গুঞ্জন ছিল যথেষ্ট।
এবারেও কি সেই ছায়াই পড়ছে ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’-র উপর? নাকি নিছক ‘শিডিউল’-এর সমস্যা? আগামী সপ্তাহেই পরিষ্কার হবে মিঠুনের এই ছবির ভাগ্য—‘নন্দন’ তাকে স্বাগত জানাবে, নাকি টলিপাড়া এক নতুন বিতর্কের সাক্ষী হবে? শেষ কথা, এই ছবি যদি দর্শক টানে ও বক্স অফিসে সফল হয়, তবে ‘নন্দন’-এর এই ‘না’ সিদ্ধান্ত ঘিরে আরও সমালোচনা ওঠার সম্ভাবনা থেকেই যায়।