স্পাইসজেট, কিংফিশারের সমস্যার মধ্যেই আগামী বছরে ভারতের আকাশে ডানা মেলতে পারে আরও ছ’টি নতুন বিমান পরিষেবা সংস্থা। মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যের বিমানমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় বিমান প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা। খসড়া বিমান পরিবহণ নীতি নিয়ে আলোচনা করতেই আয়োজন করা হয়েছিল ওই বৈঠকের। তবে সেখানে সংস্থাগুলির নাম জানাননি তিনি।

তবে চলতি বছরেই দেশে বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা পা রাখার কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে টাটা-এয়ার এশিয়ার যৌথ উদ্যোগ এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া। ৯ জানুয়ারি উড়ান শুরু করার কথা জানিয়েছে টাটা-সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ সংস্থা বিস্তারা। ২০১৪-র শুরুতেই অন্য তিনটি বিমান সংস্থা কুইকজেট কার্গো এয়ারলাইন্স, লিগেয়ার এভিয়েশন এবং এলইপিএল প্রোজেক্টস (এয়ার কোস্টা) ভারতে পরিষেবা চালুর অনুমতি পেয়েছে। শর্মা এগুলির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন।

এ দিন কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু বলেন, যাত্রী বাড়লেও গত কয়েক বছরে বেশির ভাগ সংস্থাই লোকসানের মুখে পড়েছে। এমনকী কয়েকটি সংস্থা পরিষেবা চালু রাখতেই সমস্যায় পড়েছে। এই অবস্থায় পরিষেবার মান বাড়াতে ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উত্তর-পূর্ব ভারত-সহ বিভিন্ন রাজ্যে উড়ান বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। সে কাজে নতুন সংস্থাগুলি সাহায্য করতে পারে বলে মত তাঁর।

দেশের ছ’টি মেট্রো শহরে অন্তর্জাতিক বিমান হাব গড়ে তোলার কথাও বলা হয়েছে খসড়া নীতিতে। যদিও ছোট শহরগুলিতে কেন এই হাব হবে না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে পঞ্জাব, কেরল-সহ বিভিন্ন রাজ্য।

মঙ্গলবারের বৈঠকে দেশের এই শিল্পের বেশ কয়েকটি সমস্যাও সামনে তুলে এনেছেন রাজু। পরিষেবা দেওয়ার বিপুল খরচ, বিভিন্ন করের বোঝা, বিমানবন্দর এবং বিমানগুলির উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ না-হওয়া, বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা এবং ডলারে টাকার দরের ওঠা-পড়া সমস্যা আরও বাড়িয়েছে বলে দাবি তাঁর। এই সব কারণে সংস্থাগুলির খরচের বোঝা এবং লোকসান কমাতে রাজ্যগুলিকে এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন রাজু। কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই বিমান জ্বালানির উপর কর কমিয়েছে। অন্যান্য রাজ্যকেও একই পথে হাঁটতে আহ্বান করেছেন তিনি।