বাংলা‌দেশ থে‌কে ইন্ডিয়ার ভ্রমণ ভিসা আবেদনের সময় কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

ইরিন ফারহা নোভা: কিছু বিষয় খুব সামান্য মনে হলেও এগুলোর জন্য আপনার ভিসা রিজেক্ট হতে পারে, সাথে পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা।

১। বর্ডারঃ কোন বর্ডার উল্লেখ করবেন তা নিয়ে অনেকেই টেনশনে পরে যান। যেহেতু বর্তমান সময়ে যে কেউ যে কোনো বর্ডার ভিসায় উল্লেখ থাকলেও হরিদাশপুর, বাই এয়ার ও ট্রেনে গেদে বর্ডার দিয়ে যেতে পারবেন এগুলো হচ্ছে কমন বর্ডার যা সবার জন্য, তাই আপনি আপনার সুবিধা মত অন্য বর্ডার উল্লেখ করবেন ভিসা আবেদন পত্রে।

২। ডলার এন্ডোরসঃ ১৫০ ডলার এন্ডোরস করলেই হয় ভিসা আবেদনের জন্য। তবে চাইলে আপনি বেশি নিয়ে যেতে পারবেন। একজন ভ্রমণকারী ৫০০০ ডলার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন।

সবচেয়ে ভাল হয় স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ট্রাভেল কার্ড করে নিয়ে যেতে পারেন। এর পেপার দিয়ে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন, ক্যাশ সাথে নিতে হবেনা, ইন্ডিয়ায় এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন। ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে আসার পর টাকার ব্যলেন্স থাকলে সেটা আবার ক্যাশ করে নিতে পারবেন। কার্ডের মেয়াদ পাবেন ৫ বছর, ২০০-৫০০০ ডলার পর্যন্ত রিচার্জ করতে পারবেন।

৩। সিটিজেনশিপ/ ন্যাশনাল আইডি নংঃ আপনার পাসপোর্ট যাদি NID দিয়ে করে থাকেন সে ক্ষেত্রে NID’র নাম্বার উল্লেখ করবেন ও তার কপি ভিসা আবেদনের সাথে জমা দিবেন আর যদি Birth Certificate দিয়ে পাসপোর্ট করেন তবে তার কপি জমা দিবেন, কখনোই দুইটা একসাথে জমা দিবেন না।

৪। ঠিকানাঃ আপনি যে বিলের কপি জমা দিবেন ভিসা আবেদনের সাথে, সেটাতে ঠিকানা যে ভাবে লেখা ঠিক সে ভাবে ভিসা ফর্মে লিখবেন। স্থায়ী ঠিকানা আলাদাও দিতে পারেন বা বর্তমানটাই ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন বিল যেন ৬ মাসের বেশি পুরনো না হয়।

৫। এক্সপেক্টেড ডেইট অফ ট্রাভেলঃ ভিসা আবেদনের দিন থেকে ১ মাসের মধ্যের ট্রাভেল ডেইট উল্লেখ করবেন।

৬। ছবিঃ অনলাইনে যে ছবি আপলোড করবেন, একই ছবি ভিসা আবেদন ফর্মে আঠা দিয়ে লাগাবেন। যদি আগের ভিসা থাকে তবে ওই ভিসায় যে ছবি তা দিবেন না, নতুন ছবি তুলে দিবেন।

৭। পুরনো পাসপোর্ট থাকলে অবশ্যই তা জমা দিবেন, হারিয়ে গেলে জিডি আর লস্ট সার্কুলার লাগবে। নতুবা জমাই নিবে না।

৮। ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়ে জমা দিতে চাইলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পার্সোনাল ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়ে জমা দিবেন, বিজনেস একাউন্ট হলে ট্রেড লাইসেন্স সহ জমা দিতে হবে।

৯। আগের ইন্ডিয়া ভিসা থাকলে অবশ্যই তার একটা কপি জমা দিবেন।

১০। সিগনেচারঃ পাসপোর্টে যে সিগনেচার সব জায়গায় একই ভাবে তা দিবেন।

১১। রেফেরেন্সঃ ভিসা আবেদনে ২ টা রেফারেন্স দিতে হয়। বাংলাদেশের টা আপনার ফ্যামিলি মেম্বার কারো নাম দিয়ে আপনার নিজের বাসার ঠিকানাই দিতে পারেন, আর ইন্ডিয়াতে যে হোটেলে উঠবেন তার ঠিকানা আর ফোন নাম্বার দিয়ে দিবেন।

১২। ভাই, বোন, বাবা, মা, স্ত্রী ,স্বামী সন্তানের জন্য পরিবারের একজন সদস্য ই জমা দিতে পারবেন, সবার আসা লাগবে না এম্বেসিতে।

পরিশেষেঃ চলন্ত গাড়ি থেকে কখনো রাস্তায় বোতল বা ময়লার ঠোঙা ছুড়ে ফেলবেন না।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

কুণাল ঘোষকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজনীতির অবসান বা শুরু?

রাজনীতির সময়ে অনেক সময় আসে যখন সাধারণভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মীর কাছে এক পদ দিয়ে দেওয়া…

1 day ago

রজনীকান্ত এবার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে সব রেকর্ড ভেঙে দিলেন

তিনি ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্রের মহাতারকা রজনীকান্ত। শুধু তামিল ভাষাতেই হিন্দি, তেলেগু, কন্নড় ও ইংরেজি ভাষার…

2 days ago

নির্মাতা অনিরুদ্ধ’র আরেকটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন জয়া

কলকাতার নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘কড়ক সিং’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশী…

2 days ago

বলিউড ডিভা শিল্পা শেঠির সম্পত্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি: সন্তানসহ মুম্বাই ছেড়ে প্রত্যাবর্তন

বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা তার আর্থিক মুদ্রার এক ধারালো নিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি…

2 days ago

পাওলি দাম: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এক নতুন প্রতিভার আবির্ভাব

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শৃঙ্খলা সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে অল্প বা মাঝামাঝি হয়ে যাওয়া একটি বিষয়।…

2 days ago

কুরুচিকর ভাষার প্রতিযোগিতা বন্ধে কমিশনের চিঠি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকে

দেশ জুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় বইছে। সেই সঙ্গে সমানতালে চলছে একে অপরকে আক্রমণের পালা। পক্ষ…

2 days ago
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: