উত্তর দিনাজপুর : পুরসম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওযা তিন রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিজেপিকে পরাস্ত করে কংগ্রেস যে বিশাল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তার আনন্দে শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লক ও শহর কংগ্রেসের ডাকে একটি বিজয় মিছিল কংগ্রেস বের করে। সেই মিছিলে যেন মানুষের ঢল নামে কালিয়াগঞ্জের বুকে। স্মরণকালের মধ্যে কংগ্রেসের এত বড় মিছিল, এত অঞ্চলের মানুষ দেখেনি অনেক মানুষকেই বলতে শোনা যায়। মিছিলের আগে কালিয়াগঞ্জ শহরের মহেন্দ্রগঞ্জ ময়দানে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লক ও শহর কংগ্রেস সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী অধ্যাপক প্রমথ নাথ রায় বলেন কংগ্রেস নেই কে বলে? কংগ্রেস দল সর্বভারতীয় দল। এই দলের কোন শেষ বলে কিছু নেই। কিন্তূ আর সব দল বিশেষ করে দিদির ও দাদার দল আজ আছে কাল নেই। পশ্চিম বঙ্গের তৃণমূল দল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন এটি কোন দল নয়। একজন মানুষের একটি ব্যবসায়িক দল।
এরা কয়েক বছরের জন্য ব্যবসা করতে এসেছে।রাজ্যের বেকারদের কাজ পেতে গেলে আগেই ১০থেকে১৫লক্ষ টাকা দিতে হবে।আপনার আমার বাড়ির ছেলেরা এত টাকা দিয়ে কোনদিন চাকরি নিতে পারবেনা। এরা ভোট না করে নেতা হয়ে যায়।কাউকে ভোটে দাড়াতে দেয়না। যেহেতু ভোট হলে মানুষ এদের ভোট দেবেনা সেকথা জেনেই এরা ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়না অন্য সব দলকে। এরাজ্যে গণতন্ত্রের কবর গত ২০১১সাল থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে।
আসছে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এবার ৪২শে ৪২শ নয় তৃণমূল এবার ফিনিস হবার পথে। মানুষ শুধু ভোট দেবার সুযোগের অপেক্ষায়।কংগ্রেস আবার ফিরছে। কংগ্রেস যে আছে তার প্রমান তৃণমূল কংগ্রেস আজ টের পেয়ে গেছে। ওদের বুক কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে বলে বিধায়ক প্রমথ নাথ রায় বলেন। কালিয়াগঞ্জ টাউন কংগ্রেস সভাপতি সুজিত দত্ত বলেন রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলার দিন শেষ হয়ে গেছে।
কংগ্রেস সভাপতি যা কথা দেয় সেই কাজ করে।তিন রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেই কৃষকদের কৃষি ঋণ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মুকুব করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন গুলিতে কংগ্রেস আবার বিপুল পরিমাণ আসনে জিতবে প্ৰকৃত ভোটের মাধ্যমে। রিগিং করে নয়। যুব কংগ্রেস নেতা তুলসী জয়সোয়াল তার ভাষণে বলেন বিজেপি ও তৃণমূল মিলে দেশের সর্বনাশ করে ফেলেছে।মানুষ এদের চালাকি ধরতে পেরেছে।
তৃণমূল এই রাজ্যে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন এনেছে। সর্বত্রই অরাজকতা ভরা। বক্তব্য রাখেন আয়ুব আনসারী। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন কংগ্রেস কমিশনার মঞ্জুরী দত্ত দাম, জাহেদা খাতুন, কহিনুর রেবা। কংগ্রেসের মহা মিছিলটি মহেন্দ্রগঞ্জ থেকে বের হয়ে সমগ্র কালিয়াগঞ্জ শহর পরিক্রমা করে মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির প্রাঙ্গনে এসে তার সমাপ্তি ঘোষণা করে।মিছিলে যেমন ছিল আদিবাসীদের নৃত্য দল। তেমনি ছিল মুখোশ শিল্পিদের নৃত্য দল ছিল শতাধিক ঢাকির দল।
২৪ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে সিএএ। বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে…
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এবার নয়া মোড়। সন্দেশখালি আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা ঘটেছে সম্পূর্ণটাই…
বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলবিরোধী কথা বলছিলেন। বিশেষ করে…
বিজেপির বিজ্ঞাপনে 'ধর্ম' হাতিয়ার, নির্বাচন কমিশনের নজরে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট…
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয়েছে বলে মিথ্যে রটনা শুরু হয়েছে। বিগত বছরে এমন কোন মাশুল বৃদ্ধি…
হেলিকপ্টারে হঠাৎ আগুন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান অভিনেতা তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব। তবে…