কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নির্দেশিকায় আচমকা চাষ আবাদ বন্ধ হওয়ার মুখে ৪০ জন কৃষকের

কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নির্দেশিকায় আচমকা চাষ আবাদ বন্ধ হওয়ার মুখে কুলিক পক্ষী নিবাস এর বনাঞ্চল সংলগ্ন প্রায় ৪০ জন কৃষকের। এই নির্দেশিকার জন্য সমস্যায় পড়তে চলছে আরও প্রায় ১০০ বিঘা জমির মালিক প্রায় ৫০০ জন কৃষক। ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিসার দ্বিপর্ণ কুমার দত্ত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের গেজেট নটিফিকেশন অনুযায়ী আমরা নিষেধ করছি, আমাদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের যা নির্দেশ তাই আমরা লাঘু করতে চলেছি।

তবে কৃষকদের একেবারে নিষেধ করা হয়নি কিছু ব্যাপারে সামান্য বিধি নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ কে কার্যত সত্যি মান্যতা দিয়ে বনবিভাগের বি.এস. পদে কর্মরত বিশু মুর্মু ক্যামেরার সামনেই জানিয়েছেন তারা কৃষকদের চাষাবাদে নিষেধ করছেন।

রায়গঞ্জ ব্লকে অবস্থিত কুলিক পক্ষী নিবাস এর বিশাল বনাঞ্চল লএলাকার আব্দুল ঘাটায় বেশ কিছু কৃষকের মাথায় হাত পড়ে গেছে কেন্দ্রীয় সরকারী এক ফরমানের জন্য। কৃষক বলতে রাজ্য সরকারের দেওয়া পাট্টার জমির কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের দেওয়া ওই জমিতে চাষাবাদ করে অন্য সংস্থান করে আসছিলেন। কিন্তু আচমকা বনবিভাগের কিছু কর্মী চলতি মরশুমে তাদের চাষে বাধাদান করছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

ঘটনাস্থল কুলিক বনাঞ্চলের আব্দুলঘাটা এলাকায় গিয়ে জানা যায় বনাঞ্চলের মধ্যে থাকা পাট্টায় পাওয়া কৃষি জমিতে চাষ আবাদ করতে বাধা দিচ্ছেন বন বিভাগের কর্মীরা। দেখা হয় বিশু মুর্মু নামে এক বনকর্মীর সাথে, বিশু বাবু জানান আমাদের উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে, সেই মোতাবেক আমরা কৃষিকাজে বারন করছি। সব মিলিয়ে হরিদাস বিশ্বাষ, কাশেম আলী দের মত পাট্টাদার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।

কেউ মাঠের সরিষা তুলতে বাধা পাচ্ছেন, তো কেউ শুকিয়ে যাওয়া ধান ক্ষেতে জল দেওয়ার জন্য পাম্প মেশিন নিয়ে জমিতে এসেও মাঠে জল দিতে বাধা পেয়ে পাম্প মেশিন ঘুড়িয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিসার দ্বীপর্ণ কুমার দত্তর কাছে এই সমস্যার বিষয়ে জানতে গেলে, দ্বীপর্ণ বাবু জানান ২২ শে নভেম্বর ২০১৮ কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা গেজেট নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা রাসয়ানিক সার, বিষ, ও ট্রাকটর এর ব্যবহার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি।

আগামীদিনে কুলিক বয়াঞ্চল লাগোয়া ১০০ মিটার জমিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। কারন এটাই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ। প্রশ্ন উঠছে ১০০ মিটার জমিতে যদি জৈব পদ্ধতি ও সাবেক নিয়মে চাষ করতে হয় তবে তারা অন্যান্য কৃষকদের থেকে পিছিয়ে পড়বে৷ কেন কেন্দ্রীয় সরকার এমন নির্দেশ দিলেও কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগী ব্যবস্থা করা হচ্ছে না সরকারের তরফে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।

Susmita Sarkar

Share
Published by
Susmita Sarkar

Recent Posts

সুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া: এক অভিনয়ীর সাহসিক পথ

বলিউডের স্বপ্নপূরণে সাহসের চেতনার প্রতীক পরিণীতি চোপড়া। টানা এক দশক ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন এই…

5 days ago

আমার মতো অনেকেই নিতম্ব দেখেননি : নোরা ফাতেহি

বলিউডের বোম্ব শেল, নোরা ফাতেহি, প্রথমে ছিলেন একজন আইটেম গার্ল। তিনি নাচের মাধ্যমে শুরু করেন…

5 days ago

পাঁচজনের সঙ্গে নেহা’র অতীত জীবন কেমন ছিল!

বলিউডের চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর। তিনি ১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন।…

5 days ago

তৃতীয় দফায় রাজ্যের চারটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন

তৃতীয় দফায় রাজ্যের চারটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই…

5 days ago

নজরে মুর্শিদাবাদ, মাত্র দুটি কেন্দ্রে ১০০ কোম্পানি?
মুর্শিদাবাদের জন্য আর কি কি সতর্কতা নিচ্ছে কমিশন?

তৃতীয় দফায় ভোট রয়েছে মুর্শিদাবাদে। জঙ্গীপুর ও মর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ…

5 days ago

অধীরকে গো ব্যাক স্লোগান, কমিশনে নালিশ কংগ্রেসের, জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব

মুর্শিদাবাদের নওদায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শেখ সফিউজ্জামান হাবিবের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানালো কংগ্রেস। নওদায়…

5 days ago
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: