রামগড়ে পিটিটিআই কলেজের উদ্বোধনে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

ঝাড়গ্রাম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থে তাঁদের শিক্ষাকে দোরগড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকার পাচ্ছে জঙ্গলমহলের অংশ বুধবার লালগড়ের রামগড়ে একটি পিটিটিআই কলেজের উদ্বোধন এসে এ কথা বললেন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কেউ কল্পনা করতে পারেনি এখানে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হবে, স্কুলের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিটি পরিবার কমপক্ষে পাঁচটি প্রকল্পের সুবিধা পায়। হাতে গুনে দেখলে বুঝতে পারবেন।

এই উপকারের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষকতা করতে গেলে তাঁদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অনেক শিক্ষক আছেন, যাদের বেশিরভাগ এখনও বহু ইন সার্ভিস শিক্ষক আছেন, যাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাদের শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, তাঁদের প্রশিক্ষণ নিতেই হবে। এখানে কোন ছাড় নেই। চূড়ামণি মাহাতর চিঠি নিয়ে গেলাম হয়ে গেল তা হবে না। এই জেলায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি তৈরি হচ্ছে এর এজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

এটা যেন উন্নত মানের হয়। প্রশিক্ষণ ঠিক না হলে শিক্ষার পরবর্তী ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। আমরা সব রকম সহযোগিতা করব। সাঁওতালী ভাষায় ২৮৪টি শিক্ষক নেব। প্রত্যেকবার জেলাশাসক আমাকে একটি কথা মনে করিয়ে দেন। এবারও বলেছেন, বাংলার সাথে সাঁওতালী ভাষায় যাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, আমরা তা দেখব।

মূল সংস্থা এনসিইটি জেলাশাসক চিঠি করলেই হবে। আমরা চায়, বাংলার সাথে সাথে সাঁওতালী ভাষায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকুক। যে পড়তে চাইবে সে পড়বে। কিন্তু সবাই সাঁওতালী ভাষায় পড়তে চাইলে তো হবে না। বইটা তৈরি করবে কে? পাঁচ থেসে সাতজনের নাম দিন যাঁরা বাংলা বইটিকে সাঁওতালী ভাষায় রূপান্তর করবে। সেটা আপনারা করলে, যত তাড়াতাড়ি করবেন, তত তাড়াতাড়ি পড়ার সুযোগ পাবে সাঁওতালী সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা। জঙ্গলমহলের কাছে আমি তিন-চারটি মুখ্যমন্ত্রী দেখেছি।

সবাই বলেন, বিধানচন্দ্র রায় বাংলাকে গড়ে তুলেছেন। আধুনিক বাংলাকে সর্ব জায়গায় গড়ে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা ভাবা যায় নি। জেলায় জেলায় ঘুরে মিটিং করেন। ঝড়-বৃষ্টিতে তাঁকে থামিয়ে দেওয়া যায় না। এটা করেন রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নয়। মানুষের প্রয়োজনে যেখানে যেখানে কথা দেওয়া রয়েছে সেখানে করেন। আমরা যতটা পারি তাঁকে সাহায্য করি। আমাদের মূলশক্তি জনগন।

কেউ যদি এখানকার আগে ছবি ও এখানকার ছবি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবে কি পরিবর্তন এখানে হয়েছে। আগে গাড়ি যাওগার রাস্তা ছিল না। এখন ট্রাক যাচ্ছে। শান্তি ও সংহতি দরকার। নতুন নতুন লোক এসে শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সেটা তো সরকার একা পারবে না। সবাইকে নিয়েই সবার যদি অনভূতি থাকে যে এত পরিবর্তন যিনি করেছেন তাঁকে বিঘ্নিত ঘটাব না। তাঁর উন্নয়ন বিঘ্নিত ঘটাব না। তাহলেই সত্যের জয় হবে। কাজের স্বীকৃতি হবে। ঐক্যবদ্ধ ভালো থাকতে হবে ও ভালো রাখতে হবে।

Susmita Sarkar

Share
Published by
Susmita Sarkar

Recent Posts

সুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া: এক অভিনয়ীর সাহসিক পথ

বলিউডের স্বপ্নপূরণে সাহসের চেতনার প্রতীক পরিণীতি চোপড়া। টানা এক দশক ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন এই…

6 days ago

আমার মতো অনেকেই নিতম্ব দেখেননি : নোরা ফাতেহি

বলিউডের বোম্ব শেল, নোরা ফাতেহি, প্রথমে ছিলেন একজন আইটেম গার্ল। তিনি নাচের মাধ্যমে শুরু করেন…

6 days ago

পাঁচজনের সঙ্গে নেহা’র অতীত জীবন কেমন ছিল!

বলিউডের চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর। তিনি ১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন।…

6 days ago

তৃতীয় দফায় রাজ্যের চারটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন

তৃতীয় দফায় রাজ্যের চারটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই…

6 days ago

নজরে মুর্শিদাবাদ, মাত্র দুটি কেন্দ্রে ১০০ কোম্পানি?
মুর্শিদাবাদের জন্য আর কি কি সতর্কতা নিচ্ছে কমিশন?

তৃতীয় দফায় ভোট রয়েছে মুর্শিদাবাদে। জঙ্গীপুর ও মর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ…

6 days ago

অধীরকে গো ব্যাক স্লোগান, কমিশনে নালিশ কংগ্রেসের, জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব

মুর্শিদাবাদের নওদায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শেখ সফিউজ্জামান হাবিবের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানালো কংগ্রেস। নওদায়…

6 days ago
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: