বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক জাগরণ পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান বলেছেন, ভারতবাংলাদেশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আমাদের এ সম্পর্কের যতœ নিতে হবে। এ সম্পর্কে গভীরতা অনেক, হাজার বছরের সম্পর্ক। কিন্তু দুদেশের এ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বিস্মৃত হলে চলবে না। আমাদের ভালবাসা, শ্রদ্ধার এ সম্পর্ক কোন কিছুতেই নষ্ট হতে দিতে পারি না। ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার সংঘ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আবেদ খান বলেন, যে জাতির বিজয় দিবস থাকে তাদের পরাজয় নেই। আমাদের বিজয় দিবস আছে, স্বাধীনতা দিবস ও আছে। আমাদের জিততেই হবে। আবেদ খান আরও বলেন, সংস্কৃতি নিজস্ব শক্তিতে বলীয়ান হয়। কিন্তু অনেক সংস্কৃতি পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে গেছে। আমাদের দেশে এখন সাংস্কৃতিক সম্প্রীত বজায় রাখতে পারছি না। এ ব্যর্থতা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

তবে আমাদের আবার একাত্তরের মতো দাঁড়াতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে মানবিক মুল্যবোধকে নষ্ট করা যাবে না। বহুমাত্রিক সাংষ্কৃতি রক্ষা করতে একাত্তরের মত আবারো রুখে দাড়াতে হবে। এই জন্য তরুণদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তবেই বাংলাদেশ একদিন সত্তিকারের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় উজ্জ্বীবিত হবে। বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংগঠনের সভাপতি ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন কলামিস্ট ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্র সরকার। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেনআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম ওমরাও খাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহসান উল্লাহ, ভারতের সাংস্কৃতিক সংগঠক নৃপেন অধিকারী, শান্তি ও মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি জামালউদ্দিন সবুজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক দিলীপ কুমার মণ্ডল।

সভাপতি ড. নাজমুল আহসান কলিমল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত ভ্রাতৃমাতার ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এ ভূমিকার কারণেই মাত্র নয় মাসে আমাদের বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। নয়তো ভিয়েতনামের মতো দীর্ঘসময় ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে হতো। ফলে এ রাষ্ট্রটির সাথে আমাদের শক্তিশালী একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। মূলপ্রবন্ধে ফনিন্দ্র সরকার বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে বিশুদ্ধ জীবনচর্চা। মনুষ্য জীবনের সার্থক অভিধান। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এর সারমর্ম পুরোপুরি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সংস্কৃতির ধারক যে বস্তু তাকে পরম বস্তু বলে মানুষের মনে বিশ্বাস জাগাতে হবে এবং এ বিশ^াসকে সুরক্ষিত করতে হবে। সুরক্ষিত করতে না পারলে মানব সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি ভেঙে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

সিএএ নিয়ে প্রচারে মনোরঞ্জন, সাবধান করছেন এলাকার

২৪ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে সিএএ। বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে…

2 days ago

সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো, বিজেপির পরিকল্পিত চিত্রনাট্য, ভাইরাল ভিডিয়োই দাবি বিজেপি নেতার

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এবার নয়া মোড়। সন্দেশখালি আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা ঘটেছে সম্পূর্ণটাই…

2 days ago

“আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে”- কুনাল ঘোষের গলায় কেন এই গান?

বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলবিরোধী কথা বলছিলেন। বিশেষ করে…

2 days ago

“সনাতন বিরোধী তৃণমূল”- দৈনিক সংবাদপত্রে বিজেপির বিজ্ঞাপন , প্রচারে ‘ধর্ম’ ব্যবহার করায় কমিশনে তৃণমূল

বিজেপির বিজ্ঞাপনে 'ধর্ম' হাতিয়ার, নির্বাচন কমিশনের নজরে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট…

2 days ago

বিগত বছরে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয় নি, দাবি WBSEDCL এর

বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয়েছে বলে মিথ্যে রটনা শুরু হয়েছে। বিগত বছরে এমন কোন মাশুল বৃদ্ধি…

2 days ago

হেলিকপ্টারে আগুনের ঘটনায় থমকে নেই দেব, শনিবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে চুটিয়ে প্রচার

হেলিকপ্টারে হঠাৎ আগুন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান অভিনেতা তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব। তবে…

2 days ago
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: