অতীত ভুললে ভবিষ্যৎ ভালো হয়না ; শুভেন্দু

পশ্চিম মেদিনীপুর:-এক সঙ্গে পথ চলার অতীত ভুলে তৃণমূল এখন বিজেপিকে গালাগালি করছে । এতে ভবিষ্যতে তৃণমূলের আরও খারাপ অবস্থা হবে বলে বুধবার সবংয়ের জনসভায় মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন তৃণমূল বিজেপির হাত ধরে ছিল বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছিলেন । 2006 ছয় সালে কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন অনশন করেছিলেন তখন রাজনাথ সিং কলকাতায় এসে  তাঁর অনশন ভাঙ্গেন । এইসব আজ তৃণমূল নেত্রী ভুলে গেছেন । শুভেন্দু অধিকারী বলেন তৃণমূল নামক ডুবন্ত ফুটো নৌকা ছেড়ে আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে । তৃণমূল নেত্রীও 1998 সালের আগে কংগ্রেসে ছিলেন রাজীব গান্ধীর সঙ্গে । তিনি তারপর সে বছর পহেলা জানুয়ারি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নিজের দল গঠন করে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ।

আর সেই তিনি এখন আমি দল ছাড়ায় আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন । শুভেন্দু অধিকারী বলেন দলের মধ্যে আমাকে বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছে । যুব সভাপতির পদ কেড়ে নিয়ে ভাইপোকে সভাপতি করা হয়েছে । ডায়মন্ড হারবারে বক্তব্য রাখার সময় ভাইপো বলেছেন বাপের বেটা হলে শুভেন্দু নতুন দল করে দেখাক ।  এই প্রশ্নে শুভেন্দু অধিকারী বলেন তাহলে কিছু ভোট কেটে দিলে তৃণমূলের সুবিধা হতো বিধানসভা নির্বাচনে । তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার, আমফানের টাকা মেরেছে ,চাল চুরি কয়লা চুরি গরু পাচার ইত্যাদি সব রকম কুকর্ম করেছে এর পাশাপাশি রাজ্যের 73 তিয়াত্তর লক্ষ্য কৃষক কৃষক নিধি যোজনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে । তাই এই তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উৎখাত করতে হবে ।

মানস ভুঁইয়ার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন তিনি বাঁচার জন্য 1916 সালে নারায়ণগড় এ সূর্য মিত্রকে এবং তারপর এই কয়েক বছর আগে মঙ্গলকোটে জনতার তাড়া খেয়ে বুদ্ধ বাবুকে ফোন করে বলেছিল আমাকে বাঁচান । সেই লোক মনে করেন তিনি সবং এর সর্বময় কর্তা । শুভেন্দু অধিকারী বলেন গত বিধানসভা উপনির্বাচনে সবং কেন্দ্রে মানস ভুঁইয়ার স্ত্রী গীতা  ভূঁইয়ার জেতার কোনো সম্ভাবনা ছিল না । বিকাশ ভূঁইয়া অমূল্য মাইতিদের মত আদি তৃণমূল নেতাদের বাদ দিয়ে মানস ভুঁইয়া তার নিজের স্ত্রীকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন । এতে  ক্ষেপে  গিয়েছিলেন অন্যান্য নেতারা । কিন্তু আমি  আমি তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে সমস্ত ভোট এক জায়গায় করি। নাহলে এখানে বিজেপি প্রার্থী জয়ী’ হতেন । শুভেন্দু বলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতী ঘোষ জয় লাভ করতেন । সমস্ত জায়গায় তিনি লিভ নিয়েছিল । তাকে কায়দা করে হারানো হয় কেশপুরে । সেখানে পুলিশ দিয়ে আসি হাজার ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়  ভারতী ঘোষকে ।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

কুণাল ঘোষকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজনীতির অবসান বা শুরু?

রাজনীতির সময়ে অনেক সময় আসে যখন সাধারণভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মীর কাছে এক পদ দিয়ে দেওয়া…

1 day ago

রজনীকান্ত এবার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে সব রেকর্ড ভেঙে দিলেন

তিনি ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্রের মহাতারকা রজনীকান্ত। শুধু তামিল ভাষাতেই হিন্দি, তেলেগু, কন্নড় ও ইংরেজি ভাষার…

1 day ago

নির্মাতা অনিরুদ্ধ’র আরেকটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন জয়া

কলকাতার নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘কড়ক সিং’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশী…

1 day ago

বলিউড ডিভা শিল্পা শেঠির সম্পত্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি: সন্তানসহ মুম্বাই ছেড়ে প্রত্যাবর্তন

বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা তার আর্থিক মুদ্রার এক ধারালো নিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি…

1 day ago

পাওলি দাম: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এক নতুন প্রতিভার আবির্ভাব

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শৃঙ্খলা সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে অল্প বা মাঝামাঝি হয়ে যাওয়া একটি বিষয়।…

1 day ago

কুরুচিকর ভাষার প্রতিযোগিতা বন্ধে কমিশনের চিঠি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকে

দেশ জুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় বইছে। সেই সঙ্গে সমানতালে চলছে একে অপরকে আক্রমণের পালা। পক্ষ…

1 day ago
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: