ডিজিটাল ডেক্স: ডায়াবেটিস হলে রক্ষা নেই! একটা সময়ে এমন মনে হতো অনেকের। কিন্তু জীবনযাপনে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনলে এই রোগকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দুঃখের বিষয় মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ইদানীং দ্রুত বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। এই অঞ্চলগুলোতে দ্রুত নগরায়ণ ও জীবনযাপনপদ্ধতির পরিবর্তনও হচ্ছে বেশ দ্রুত। দেখা গেছে ৬৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীই শহরে বাস করে। বংশগত ও জীবনাচরণপদ্ধতি ডায়াবেটিসের দুই অন্তর্নিহিত কারণ। চাইলেও বংশগত বা জেনেটিক বিষয়টি থেকে পরিত্রাণ নেই। তাই জীবনযাপনে আমূল পরিবর্তন ও সংশোধনই পারে এই সমস্যা থেকে রক্ষা করতে।
ডায়াবেটিস কী, কেন?
আমাদের শরীরে শর্করা ও চর্বির বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন ইনসুলিন। এই হরমোন অগ্ন্যাশয় থেকে ঠিকমতো নিঃসৃত না হলে বা শরীরের কোষে ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে বিপাক ক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দেয়, যার ফল ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিস, যা মূলত কম বয়সে হয়ে থাকে। তাতে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি করার ক্ষমতা হারায়। কিন্তু এদের বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন অপরিহার্য।
তবে বিশ্বজুড়ে ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিসই হলো টাইপ ২ ডায়াবেটিস, যা বয়স্কদের হয়ে থাকে। স্থূলতা বা ওজন বৃদ্ধি, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, মানসিক চাপ, ধূমপান ইত্যাদি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম ঝুঁকি। বর্তমানে একই সঙ্গে বাড়ছে নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা জিডিএমের প্রবণতা। আর এর বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পরবর্তী প্রজন্মের ওপর। এই দুষ্ট চক্র ভাঙতে হলে চাই সঠিক জীবনযাপন সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা।
পাল্টে ফেলুন নিজেকে
ডায়াবেটিস ও বংশগত ঝুঁকি
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ইত্যাদি রোগের মতো ডায়াবেটিসও পারিবারিক বা বংশগতভাবে বাহিত হয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি বেশি প্রযোজ্য। মা-বাবা যে কারও একজনের থাকলে আপনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন, আর যদি দুজনেরই থাকে, তবে সে আশঙ্কা অনেক গুণ বেড়ে যায়। পরিবারে ডায়াবেটিস থাকলে নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
কারও যদি পরিবারে বাবা-মা কিংবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস থাকে, তবে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন:
* বংশগত বিষয়টি যেহেতু এড়ানো সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে অন্য ঝুঁকিগুলো কমিয়ে ফেলতে চেষ্টা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, কম বয়স থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, নিয়মিত কায়িক শ্রম করুন। এতে ঝুঁকি অনেকটা কমে আসবে।
* ৩৫ বছরের পর থেকে বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করুন। এর মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা গেলে (যেমন: ওজন হ্রাস, দুর্বলতা, পিপাসা বৃদ্ধি বা ঘন ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি) অবশ্যই রক্তে শর্করা পরীক্ষা করে নিন।
* বিশেষ করে পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে এমন কেউ সন্তান ধারণের আগে সম্ভব হলে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করে নিন। গর্ভধারণের পর ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই রক্তে শর্করা পরীক্ষা করতে হবে।
রাজনীতির সময়ে অনেক সময় আসে যখন সাধারণভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মীর কাছে এক পদ দিয়ে দেওয়া…
তিনি ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্রের মহাতারকা রজনীকান্ত। শুধু তামিল ভাষাতেই হিন্দি, তেলেগু, কন্নড় ও ইংরেজি ভাষার…
কলকাতার নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘কড়ক সিং’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশী…
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা তার আর্থিক মুদ্রার এক ধারালো নিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি…
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শৃঙ্খলা সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে অল্প বা মাঝামাঝি হয়ে যাওয়া একটি বিষয়।…
দেশ জুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় বইছে। সেই সঙ্গে সমানতালে চলছে একে অপরকে আক্রমণের পালা। পক্ষ…