প্রচণ্ড গরমে জনজীবন নাজেহাল


বৃহস্পতিবার,১৪/০৫/২০১৫
575

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ   সারা দেশে প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবনে ভোগান্তি বেড়েছে। সেই বেড়েছে অসুখ-বিসুখ। গরমের কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল অনেকটা কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রতিনিয়ত খেটে-খাওয়া মানুষ।  আজ বুধবার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলেন, বৃষ্টি হলে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমে আসবে। বর্তমানে দেশে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব থাকায় মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। যে কারণে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। নিয়মিত বৃষ্টিপাত শুরু না হওয়া পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আজ তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবারও অনুরূপ তাপমাত্রা থাকবে। কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও হাসপাতালে রোগীরা।  বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে এখন ৪০ ডিগ্রি বলে মনে হচ্ছে। তীব্র গরমে কর্মজীবী মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ঠাণ্ডা জল খেয়ে  কিছুটা হলেও স্বস্তি লাভ করছেন। রিকশাচালক ও খেটে-খাওয়া মানুষের অভিমত হচ্ছে গরমের কারণে সকাল ১০টার পরে বাইরে থাকা কঠিন। প্রচণ্ড গরম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে ফুটানো জল এবং খাবার স্যালাইন  করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা ফুটপাতের খাবার পরিহার ও শরবত না খাওয়া করারও অনুরোধ জানিয়েছেন। গরমের সময় মাছ-মাংসের চেয়ে সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। আবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব কমে দেশে মৌসুমি বায়ুর নিয়মিত প্রবাহ শুরু হলেই বৃষ্টির আগমনে এই প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে দেশবাসী মুক্তি পাবে। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, বছরের এই সময়টায় সূর্যের কিরণ লম্বালম্বিভাবে ভূপৃষ্ঠে পতিত হওয়ায় অধিক তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস বর্ষাকাল এবং মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রাক-বর্ষাকাল। প্রাক-বর্ষাকালের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে গরমের কারণে ফুটপাতে শরবতের ব্যবসা জমে উঠেছে। তীব্র গরমের সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিং। বিশেষ করে জেলা শহরের লোডশেডিং বেড়েছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ নানা অসুখ। এই ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীরা হাসপাতালে ভিড় করছেন।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট