প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম প্রয়াত হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর সৃষ্টির জিনিস আগামী প্রজন্মকে অনেক কিছু দিয়ে গেলেন। এই রকম কৃতি সন্তান আর হবে কিনা জানা নেই। প্রচন্ড দারিদ্রতার মধ্যে লড়াই করে কি ভাবে শীর্ষে ওঠা যায় সেইটা ওনার জীবন ধারণ থেকে আমরা জানতে পেরেছিলাম। শুধু ভারত নয় সারা বিশ্বের কাছে অতি মূল্যবান এই মানুষটি ছিলেন। যতদিন মনুষ্যজাতি থাকবে ওনার সৃষ্টি ও নাম সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে বিশ্বের ইতিহাসের পাতায়। এতো সরল সাদাসিধে মানুষ অথচ একদিকে প্রেসিডেন্ট অন্যদিকে বিজ্ঞানী এই দুই মিলনের সাথে কি ভাবে পরিচালনা করতেন সেইটা উনি ছাড়া কেও করতে পারতেন না। মাত্র ৮৪ বছর বয়সে কাজের অর্থাৎ পড়াশোনার বিষয় নিয়ে মেঘালয়ের শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউড অব ম্যানেজমেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময় শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মানুষটি ইচ্ছা করলে নাও যেতে পারতেন, কিন্তু ওনার ইচ্ছা ছিল সব সময় আগামী প্রজন্মকে কিছু দেওয়ার জন্য মনের তাগিদে ছুটে গিয়েছিলেন ছাত্রদের কাছে ওনার অমূল্য কথা বলতে। ওনার আর একটা নাম ছিল মিসাইল ম্যান। এই পরমাণু বিজ্ঞানী ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশে রাষ্ট্রপতি দায়িত্বে পালন করেও বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতেন। দেশের একটি পিছিয়ে পরা গ্রামে ১৯৩১ সালে ১৫ অক্টোবর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে মাঝি পরিবারে জন্মেছিলেন এই বিখ্যাত মানুষটি। কাজের অবদানের জন্য দেশের সবোচ্চ পুরস্কার পদ্ম ভূষণ ও ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর আত্নজীবনী লিখেছেন, বইটির নাম ‘ উইংস অব ফায়ার ‘। এই বইটি বিশ্বে কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। আমরা এই মহান মানুষটির আত্নার শান্তি কামনা করি।
ভারত এক অমূল্য রত্ন কে হারাল !
শুক্রবার,৩১/০৭/২০১৫
597
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: