উলুবেড়িয়ায় থমকে রেলের উড়ালপুলের কাজ


বৃহস্পতিবার,২০/০৯/২০১৮
591

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া:হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার আমতা,উদয়নারায়নপুর ও বাগনান বাসিদের উলুবেড়িয়া যেতে হয়।কারণ উলুবেড়িয়াতে রয়েছে মহাকুমা হাসপাতাল,অফিস থেকে শুরু করে কোর্ট সবকিছুই। তাই উলুবেড়িয়া যেতে গেলে রেললাইন ক্রসিং করে যেতে হয়। আর রেলগেট বন্ধ থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। শুধু তাই নয় অতীতে এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী আছে।রেলগেট ভেঙ্গে গিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এমারজেন্সি রোগী হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই রোগী মারা গেছে। তাই উলুবেড়িয়ার বাসিন্দারা বহুদিন ধরে রেললাইনে উড়ালপুল তৈরি করার দাবি তুলেছিলেন।

২০১২ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর। প্রয়াত সংসদ সুলতান আহমেদের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুন মাসে হাওড়া শরৎসদনে জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন। উলুবেড়িয়া রেল উড়ালপুল চালু হবে সেপ্টেম্বরে। কিন্তু তা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। পুজোর আগেও হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে উৎসবের মরসুমে উলুবেড়িয়া লেভেল ক্রসিংয়ে যানজটের মানুষের দুর্ভোগের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে‌।ওই উড়ালপুলের ৯৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি আছে রেললাইনের উপরের অংশটুকু জোড়ার কাজ। সেটাও করতে সময় লাগবে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা। তা হলেও হচ্ছে না কেন? দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তৃপক্ষ এর জন্য বর্ষাকেই দায়ী করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিক সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।

পূজোর আগে ওই কাজ করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে বর্ষার মরসুম শেষ হওয়ার পরেও কাজের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। এটি তৈরি করছে রাজ্য পূর্ত(সড়ক) দফতর।খরচ হচ্ছে ৪৫ কোটি টাকা। রেলের অংশ নির্মাণ কাজের টাকা রেল পূর্ত(সড়ক) দফতরকে দিয়ে দিয়েছে। বাকি টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার। মাস চারেক আগেই বেশির ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। শুধু রেল লাইনের উপরের অংশটুকু জোড়ার কাজ বাকি। এর জন্য ট্রেন চলাচল বেশ কিছুক্ষন বন্ধ রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সঙ্গে রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার আলোচনা করেছেন। টানা ৬ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হবে। তার মধ্যে সেতুর দুটি মুখ জোড়া হবে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট