মোল্লা জসিমউদ্দিন , মঙ্গলকোট, ৫ জানুয়ারীঃ ‘ বর্ধমানে এল টোটো, রিকসাওয়ালা দের হাতে কোটো’। এই কলি রিকসাচালকরা গেয়ে চলেছেন বর্ধমান শহরে। সম্প্রতি কালনার পুরশ্রী মঞ্চে টোটো বনাম রিকসা চালকদের সমাধান সূত্র খুঁজতে পৌরসভার কাউন্সিলাররা বসেন। কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। বর্ধমান শহরে তীব্র যানজট এড়াতে বছর খানেক আগে বাসস্ট্যান্ড পরিবতিত হয়। তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড পরিবর্তনে উত্তরা এবং আলিশা দুটি বাসস্ট্যান্ড গড়ে জেলা প্রশাসন। এই দুটি বাসস্ট্যান্ডের মধ্য দুরত্ব প্রায় ১২ কিমি। আগে শহরের মাঝখানে বাসস্ট্যান্ড থাকায় যাত্রীরা বাসে নিজ নিজ গন্তব্য ষ্টপেজে নামতেন। যার ফলে বিকল্প যানবাহনের সেভাবে দরকার পড়তোনা যাত্রীদের। বর্ধমানে বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরতে গেলে রিকসা কিংবা টাউন সাভিস বাসের দরকার পড়ে। রিকসায় গেলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা গড়ে এবং সেই সাথে সময় লাগে বেশি। অপরদিকে টাউন সাভিসের বাসে উঠলেই ৬ থেকে ৭ টাকা গড়ে এবং ভীড় যন্ত্রনার শরিফ থাকা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতি মাত্র ১০ টাকা তে স্বাছন্দে বসে অল্প সময়ে গন্ত্যবে পৌঁছে দিচ্ছে ব্যাটারী চালিত গাড়ী টোটো। শহরের অলি- গলি বেয়ে কমপক্ষে দুশোটি টোটো চলছে বর্ধমানে শহরে। টোটো গাড়ী নির্মাণে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পড়ে। একবার চাজ দিলে আশি কিমি সারা – দিন যাতায়াত করা যায়। আদি আভিজাত্য পরিবারের বেকার ব্যক্তিদের কাছে টোটো চালিয়ে ৫০০ টাকা আয় করা আর্থিক স্বনিভতার পথ দেখাচ্ছে। রক্ষনা বেক্ষনে খরচ নেই বললেই চলে। অপরদিকে বর্ধমানে শহরে তিন হাজারের কাছাকাছি রিকসা চলে। রেল ষ্টেশনে কিংবা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় রিকসা কে এড়িয়ে টোটো ধরছেন যাত্রীরা। অপরদিকে রাত আটটার পর শহরে টাউন সাভিস বাস সেভাবে চলেনা। যাত্রীদের বেশির ভাগ তাই টোটো গাড়ীতে নিভরশীল হচ্ছে। সম্প্রতি দূগাপুজো পরিক্রমায় শহরের সমস্ত বড় পুজোগুলি গড়ে একশো টাকার বিনিময়ে দশনাথী দেখিয়ে সুনাম অর্পণ করেছে টোটো চালকরা। এই সব দেখে রিকসাওয়ালারা তাই গাইছে ‘ বর্ধমানে এল টোটো আমাদের হাতে কৌটো’ কলি।
টোটো গাড়ীতে মজেছে বর্ধমান বাসী
শুক্রবার,১৬/০১/২০১৫
918
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: