মহম্মদ আজাহার উদ্দিন, বীরভূম ঃ- দেওয়ানগঞ্জ বীরভূম জেলার এক পিছিয়ে পড়া গ্রাম। মোট ৯৮ টি পরিবারের বাস, তার মধ্যে ৬৪ টি সাঁওতাল পরিবার, ২১ টি মুসলিম এবং ১৩ টি কোঁরা স্মপ্রদায়ের বসতি। জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম । যাতায়াতের রাস্তা মাটির, বর্ষাকালে ওই গ্রামে পোঁছানো ভাগ্যের ব্যাপার। অধিকাংশ মানুষজনের জীবিকা পাথরশ্রমিক। সেরকম ভাবে কোনো অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পান না এই গ্রামের মানুষরা। তাই তারা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতি বছর শীতকালের একটা দিন কাটান উৎসবের মেজাজে। ওই দিন গ্রামে হয় ফুটবলখেলা, মহিলাদের শালপাতা সেলাই প্রতিযোগিতা, গ্রামে বসে একদিনের মেলা, রাত্রে হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঝামেলার কোনও বালাই ছিলনা। এরকম রীতি চলে আসছে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে। ২০১০ সালে পাথর শিল্পমালিক ও স্থানীয় আদিবাসীদের দন্দে বন্ধ হয়েগিয়েছিলো বীরভূমের পাথর শিল্পবলয় পাঁচামি । পাথর শিল্প মালিকদের ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছিলেন বহু আদিবাসী মানুষজন আবার আদিবাসীদের ভয়ে ওই শিল্পবলয়ে ঢুকতে পারতনা ক্রাসার বা খাদান মালিকরা। শেষমেশ ক্রাসারমালিক ও আদিবাসীদের নিয়ে সমাধানে বসে তৎকালীন সরকার। দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন তখনকার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাজ্য। বিভিন্ন টানাপোরানের পর বহু প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর খোলে এই পাঁচামি।
সেই সময়কাল থেকে বন্ধ হয়েগিয়েছিলো দেওয়ানগঞ্জ গ্রামের আচার অনুষ্ঠান , খেলা ধুলা সবই। টানা ৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে ওই গ্রামে ফিরে এলো স্বাভাবিক অবস্থা । আবার গ্রামে শুরু হল খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবই। তবে এবার নজরে পড়ল এক অন্য চেহারা পুলিসি পাহারায় সম্পন্ন হল এবারের অনুষ্ঠান। আজ সকাল থেকে গ্রামে শুরু হয়েছিল ফুটবল খেলা, সন্ধ্যায় মেলা এবং উড়িষ্যার এক সাঁওতালি যাত্রাদল গঙ্গা-সাগুন অপেরার যাত্রা।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন বীরভূম জেলা আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার সম্পাদক রবিন সরেন।
আবার শুরু হল মিলনমেলা
শনিবার,০৭/০২/২০১৫
616
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: