খায়রুল আনাম, বোলপুর, বীরভূমঃ রামপুরহাটে খরুন পঞ্চায়েতটি রয়েছে সিপিএমের দখলে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যা শিলা লেট দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত না থাকায়, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিনতি চৌধুরী বিষয়টি রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনকে জানান। ১৯৭৩ সালের পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পর পর তিনটি সভায় উপস্থিত না থাকার কারণে, ওই পঞ্চায়েত সদস্যার সদস্যপদ কেন খারিজ করা হবে না তা জানতে চেয়ে মহকুমা প্রসাসনের পক্ষ থেকে ওই পঞ্চায়েত সদস্যা শিলা লেটকে শো-কজ করা হয়। ওই পঞ্চায়েত সদস্যা অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে মেডিকেল সার্টিফিকেট পেশ করে প্রশাসনের কাছ থেকে ‘ ক্লিনচিট ‘ পান। এরপরই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের হিসাব চেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটি স্মারকলিপি দিতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিনতি চৌধুরী অভিযোগ , স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন কেন শিলা লেটের অনুপস্থিতির বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে তার কৈফিয়ৎ চেয়ে তাঁকে হেনস্তা করে, টেবিল চাপড়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। একজন মহিলা হিসেবে আমি তাতে চূড়ান্তভাবে অপমানিত বোধ করেছি। আমার বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে ওরা আসলে শিলা লেটের অনুপস্থিতির বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে জানানোর জন্য আমাকে হেনস্তা করতেই এসেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে হেনস্তা করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের অনিয়মের যে সব অভিযোগ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে প্রধান সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে না পেরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
Auto Amazon Links: No products found.