প্রায় ১৪০০ অভিবাসী উদ্ধার মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে


মঙ্গলবার,১২/০৫/২০১৫
667

খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ     ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সমুদ্রসীমা থেকে আজ সোমবার প্রায় এক হাজার ৪১৮ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এসব অভিবাসীদের উদ্ধারের খবর প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়া সমুদ্র উপকুল থেকে এক হাজার ১৮ জন ও ইন্দোনেশিয়ার জলসীমা থেকে ৪০০ জনকে উদ্ধার করা হয়।

 সোমবার ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূলীয় এলাকার সমুদ্রসীমা থেকে দুই দেশের কোস্টগার্ড ও পুলিশ অন্তত ৪টি বড় ট্রলার থেকে এসব অভিবাসীদের উদ্ধার করে।

মালয়েশিয়া সমুদ্র উপকুলের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৫৫৫ জন বাংলাদেশী বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে মালয়েশিয়া পুলিশ প্রধান। তিনি জানান, বাকিরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

 

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী বিভাগের প্রধান বুদিওয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সকালে প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জলসীমা এ মালয়েশিয়ার উপকুলীয় সমুদ্রসীমা থেকে দু’দেশের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পর পর আসা ৪টি ট্রলার থেকে এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করে।

তিনি জানান, ট্রলারগুলোতে খাদ্য ও জ্বালানি তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় পাচারকারী দল তাদের সমুদ্রে রেখেই পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে ম্যানতাং পুনতংগামী দু’টি ট্রলার থেকে ৫০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ারা বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়।

জাকার্তায় নিযুক্ত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ডেপুটি চিফ অব মিশন স্টিভ হ্যামিল্টন এসব অভিবাসীকের উদ্ধাররে ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নারী ও শিশুসহ একটি নৌকায় ৪৩০ জন ছিল, আরেকটিতে ছিল ৭০ জন।

সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের হাতে জিম্মি হয়ে বাংলাদেশীসহ অভিবাসীদের প্রাণ হারানোর ঘটনায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় তোলপাড় চলছে। বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া এই দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এরই মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।

এমন পরিস্থিতিতে ইন্দোনেশিয়া উপকূলে দফায় দফায় অভিবাসী উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট