১৯৪৫, ৬ই আগষ্ট আর না আসে !


বৃহস্পতিবার,০৬/০৮/২০১৫
700

   খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ  ১৯৪৫ সালের ৬ আগষ্ট,  এই দিনে জাপানের হিরোশিমা শহরে মার্কিন বিমান থেকে আনবিক বোমা ফেলা হয়েছিল। এতে নিহত হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ৭০ টি বছর। ৭০ বছর পর সেই বিভৎস দিনটিকে স্মরণ করছে ওই শহরের বাসিন্দারা।

শুধু ওই শহরের বাসিন্দারাই নয়, পুরো দেশ ওই দিনটিকে স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নিহতদের স্মৃতিতে নির্মিত উদ্যানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তার উপস্থিতিতে শহরের মোতোইয়াসু নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার প্রদীপ।

হিরোশিমাতে বোমা ফেলার মাত্র তিনদিন পর দ্বিতীয় হামলার শিকার হয় নাগাশাকি। আর এটাই বুঝি ছিল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কৃতিত্ব!

সেসময় ওই শহরে অন্তত ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ বাস করত। ইনোলা গেই নামের মার্কিন বি-২৯ বোমারু বিমানটি ১৯৪৫ সালের ৬ আগষ্ট আনবিক বোমা ফেলেছিল। শহরের ৬শ মিটার জায়গা জুড়ে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। ওই দিন অন্তত ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। তবে পরের দিনগুলো ছিল আরো ভয়াবহ। বিকিরণ বিষক্রিয়ায় যারা আহত হয়েছিল দিনের পর দিন করুণভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাদের অনেকেই।

ওই দিনটিকে স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেছে পুরো জাপানবাসী। যে সময় মার্কিন বিমান শহরের কেন্দ্রে বোমা ফেলেছিল ঠিক সেসময় অর্থাৎ স্থানীয় সময় সকাল সোয়া আটটায় ঘণ্টাধ্বনি বাজানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় হিরোশিমা দিবসের আয়োজন।

হিরোশিমার ১৯৪৫ সালে বোমা হামলার কেন্দ্রস্থল থেকে কিছুটা দুরের শান্ত পার্কের স্মৃতিসৌধে ওই স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। তাদেরকে উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আবে বলেন, ‘আনবিক বোমা শুধু হিরোশিমার হাজার হাজার মানুষকে হত্যাই করেনি। বরং যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে দিয়েছে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আজ হিরোশিমা নতুন করে জেগে উঠেছে এবং এটি সংস্কৃতি এবং সমৃদ্ধির একটি শহরে পরিণত হয়েছে।’ হিরোশিমা দিবসের ৭০ বছর পূর্তিতে তিনি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দেন।

বৃহস্পতিবার হিরোশিমা দিবসের ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আবের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতুসি ও জাপানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন কেনেডি। হিরোশিমা শহরে আনবিক বোমায় নিহতদের স্মরণে নীরব প্রার্থণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে তারা শান্তির প্রতীক এক ঝাঁক পায়রা উড়িয়ে দেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট