খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ সাংবাদিক বৈঠকে নিজের করা বক্তব্যে আরও বিতর্ক উসকে দিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর প্রেসিডেন্সির সফরের দিন পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে পড়ুয়াদের আন্দোলন এ দিনও চলেছে। তবে প্রতিবাদের ধরন পরিবর্তন করলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছাত্রছাত্রীদের তিনি সস্নেহে সরিয়ে দিয়ে ভিতরে ঢোকেন। আন্দোলন সম্পর্কে নতুন করে কোনও বিরূপ মন্তব্য না-করে উপাচার্য বলেন, ‘‘ওরা অনেক ছোট। তাই রাগের মাথায় ভুল করে ফেলেছিল। তবে ওরা যে ভুল বুঝে দুঃখ প্রকাশ করেছে, এর জন্য আমি ওদের প্রতি গর্বিত। ওরা প্রেসিডেন্সির মর্যাদা বজায় রেখেছে। তবে পদত্যাগ কখনওই নয়।’’ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে এ দিনই একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন উপাচার্য। তিনি জানান, সাত দিনের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। গতকাল প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা প্রায় আড়াই ঘণ্টা সাধারণ সভা করেন। তারপর তাঁরা জানান, উপাচার্যের গঠন করা কমিটিকে মানছেন না তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ওই কমিটিতে রেজিস্ট্রারকে রাখার জন্য তাঁদের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তা মানা হয়নি। গতকাল সাধারণ সভার পর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানান, আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে এবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচার চালাবেন তাঁরা। গতকাল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন অনুরাধা লোহিয়া এবং তিনি এদিন বলেন ‘‘২২ অগস্ট সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রিত ছিলেন। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রটোকল অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ২১ অগস্ট আসতে চান। তিনি আমাকে বলেন, ‘তুমি ভাল কাজ করছ। আমি যাব।’ ওই দিন ওঁর থেকে অনুদান নেওয়ার ছিল। তাই ডেকেছি।’’ কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই সমাবর্তনের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপাচার্যের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসতে চাইলে আমি কি তাঁকে বারণ করব?’’ শঙ্খ ঘোষকে ডিলিট না-দেওয়া নিয়ে উপাচার্য বলেন ‘‘গভর্নিং বডি-র প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শঙ্খ ঘোষের নাম ছিল ডিলিট প্রাপকের তালিকায়। মাস দেড়েক আগে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠানো হয়। সমাবর্তনের তিন-চার দিন আগে বিদেশ মন্ত্রক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানায়, হাসিনা আসতে পারবেন না। তখন শঙ্খবাবুকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো সময় ছিল না। তাই ঠিক করা হয় পরে শঙ্খবাবুকে অনুষ্ঠান করে সম্বর্ধিত করব।’’ যদিও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ করলেই যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করতে হবে এটা কোনও প্রোটোকলে নেই। এবং শেখ হাসিনা না আসায় শঙ্খবাবুর ডিলিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছে এই যুক্তিও হাস্যকর। ’’ প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় সরাসরি রাজনৈতিক কারণই উল্লেখ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শঙ্খবাবু সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। সে কারণেই তাঁকে ডিলিট দেওয়া হয়নি। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজ দুপুরেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। ( ছবিঃ ওয়েবসাইট)।
আবার প্রেসিডেন্সিতে মিছিলের ডাক, শঙ্খ ঘোষকে ডিলিট না দেওয়ার জন্য
বুধবার,২৬/০৮/২০১৫
526
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: