পূর্ণেন্দু চক্রবর্তীঃ ফুটবল মাঠ টাকে সাধনার পীঠ বলে সারা জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই মন্দিরে গিয়ে উপাসনা করতেন। ভালবাসা বলতেই সেই মোহনবাগান ক্লাব। একেবারেই মোহনবাগানী বলতেই সবচেয়ে আগে যে নামটা জ্বলজ্বল করে উঠবে তিনি সবার কাছে প্রিয় মানুষ পদ্মশ্রী শৈলেন মান্না। জীবনে মোহনবাগান ছাড়া অন্য কোনও ভাবনাকে কদরই করতেন না। সংসারেও আপস করতেন না মোহনবাগানের সঙ্গে। তাইতো শৈলেন মান্না কোনও কোনও সময়ে বলতেন, ‘ সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারি কিন্তু মোহনবাগান ত্যাগ করে অন্য কোথায় মণ সঁপে দিতে পারব না।’ সত্যি তাই। শৈলেন মান্না মোহনবাগানকে ‘ দ্বিতীয় মা’ হিসেবে প্রণাম করতেন। মোহনবাগান তাঁর কাছে ছিল সবচেয়ে বড় সম্পদ – বড় প্রাপ্তি। শৈলেন মান্নাকে স্বামী হিসেবে গর্ব অনুভব করতেন আভা মান্না, তাঁর জীবনে প্রতিটি পদক্ষেপ যেন কথা বলতো। আবেগে হারিয়ে যেতেন, সেই অনুভূতি কথা বারবার উঠে এল একানব্বই বছর শৈলেন মান্নার জন্মদিনে। ফুটবলার – গায়ক ভুবন চ্যাটাজী যখন ‘ মোহনবাগান ভালবাসার গান ‘ সিডিটা স্ত্রী আভা মান্নার হাতে তুলে দিচ্ছিলেন। চোখটা ছলছল করে উঠেছিল। পিছন থেকে সমর্থকরা চিৎকার করে ওঠেন – মোহনবাগান শৈলেন মান্না। শৈলেন মান্না। সৌজন্যেঃ দৈনিক স্টেটসম্যান।
আজও শৈলেন মান্না
বুধবার,০৯/০৯/২০১৫
1221