দশমীর দিন থেকে রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে শুরু হয় ২৫০ বছরের দূর্গা পূজা


রবিবার,২৫/১০/২০১৫
803

 বিকাশ সাহাঃ   বাঙালীর শ্রেষ্ট উৎসব দূর্গা পূজো শেষ হয়ে গেলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের একটি গ্রামে দূর্গা পূজো কিছুতেই যেন শেষ হতে চায়না। তাই দূর্গা পূজোর দশমীর দিন থেকে রায়গঞ্জ ব্লকের ২ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে খাদিমপুর এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুরু হল দূর্গা পূজো। হেমতাবাদ লাগোয়া কমলাবাড়ি হাট ছাড়িয়ে দক্ষিণ দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার গেলে এই খাদিমপুর গ্রামের অবস্থান। সেখানেই ৪ বিঘা দেবত্তো সম্পত্তির মধ্যে প্রাচীন একটি গাছের তলায় ইটের দেওয়াল ও টিনের চাল দেওয়া একটি ছোট্ট মন্দিরে দেবীর পূজা হয়। প্রতি বছরের মত এবারও দশমীর পর বৃহস্পতিবার রাতে দেবীর পূজা শুরু হয়েছে। এদিন রবিবার দশমী পূজা সম্পূর্ণ হয়। আর পাঁচজন বাঙ্গালী যেমন বছরের প্রথম থেকেই দূর্গা পূজোর প্রতীক্ষায় থাকেন। ঠিক তেমনই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দারা দূর্গা পূজো শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। কারণ দশমীর পরদিন থেকে এই গ্রামে শুরু হয় মা বলাইচন্ডী রূপী দূর্গা পূজো। দশমীর দিন বিসর্জনের রাত ৮ টা নাগাত মা বলাইচন্ডীর পূজা শুরু হয়। সেদিন থেকে এই গ্রামে চারদিন ধরে চলে দূর্গা পূজো। এখানে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মা বলাইচন্ডী রূপে দূর্গা পূজো করা হয়। নিজ পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য এই চারদিন ধরে খাদিমপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে চলে নিরামিষ খাওয়াদাওয়া।
পূজো কমিটির সভাপতি হীরু রায় জানান, দেবী দূর্গা এখানে মা চন্ডী রূপে পুজিত হন। দূর্গার সঙ্গে এখানে মহিষ বা অসুর কেউই থাকেনা। পূজো দেখতে পূজোর এই চারদিন দূরদূরান্তের মানুষ এখানে ভিড় জমান। মা বলাইচন্ডী রূপী দূর্গার কাছে ভক্তরা নিষ্ঠার সঙ্গে পূজো দিলে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। পূজো চারদিন পূজা প্রাঙ্গনে বিশাল মেলা বসে। পূজো উদ্যোক্তারা আরও জানান, এই পূজো কবে শুরু হয়েছিল তা সঠিক ভাবে না বলা গেলেও আনুমানিক ২৫০ বছরের বেশি সময় ধরে মা বলাইচন্ডী রূপে এখানে দেবী দূর্গা পূজা হয়ে আসছে। পূজা করতে গিয়ে বিভিন্ন যায়গায় অনুমোদন নেওয়ার খরচ বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে আগের থেকে চাঁদার হারও অনেক কমে গিয়েছে। ফলে অর্থাভাবে নতুন করে মন্দির তৈরি করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
মা বলাইচন্ডী রূপী দূর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মত।DSCN8170

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট