শুভ নববর্ষ ১৪২৫


রবিবার,১৫/০৪/২০১৮
5549

শুক্লা চট্টোপাধ্যায়, এসোসিয়েট প্রফেসর, ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ: ১৪২৪ বাংলা বর্ষ শেষ হয়ে এল। সকল বাঙালি, পৃথিবীর যেখানেই থাকুক নববর্ষ বরণ করার জন্য তৈরি। সে হয়ত বাংলায় কত সাল, তা চট করে বলে উঠতে পারবে না কিন্তু ১৫ই এপ্রিল যে নববর্ষ উৎযাপিত হবে তা নিশ্চয় মনে রাখে। কারণ নববর্ষ যে বাঙালীর শিকড়ে টান দেয়, পরম্পরা অব্যাহত রাখে। ১৪২৫ নববর্ষের পূর্ণ প্রভাতে বাঙালী করে অন্তত একবার বাঙালি করে প্রমাণ দিতে ব্যস্ত থাকেন। পোশাক-পরিচ্ছেদ ভোজন হালখাতা, প্রভাত ফেরি, বেতার বা দূরদর্শনের অনুষ্ঠান সবে তেই বেশ একটা জাঁকজমক!

Affiliate Link কলকাতার খবর | Kolkata News

বিশেষ করে অতীতকে ফিরে দেখা! বাঙালির নষ্টালজিয়া? এই রে বাঙালীর নববর্ষে ইংরেজি শব্দের প্রবেশ।

শুভ নববর্ষ বলে নমস্কার জানানো,কোলাকুলি, দূরভার্ষ, মুটো দূরভাষ বা চল দূরভাষ যন্ত্রে  শব্দ সাজিয়ে বাক্যের আদান প্রদান। সকাল বেলার জলখাবারে লুচি, আলু চচ্চড়ির বিলাসিতা, কিংবা দুপুরে ধোকার ডালনা,পটলের দোলমা সহযোগে মাছ-মাংস-ভাত,  সন্ধ্যায় দোকানে দোকানে হালখাতার মিষ্টি সংগ্রহের রেষারেষি,  দক্ষিণেশ্বর বা যে কোন কালীমন্দিরে প্রণাম করে রাতে বাংলা চলচ্চিত্র বা বাংলা নাটক দেখে বাড়ি ফেরা! নববর্ষের ছুটির দিন শেষ,এসবই মধ্যবিত্ত বাঙালীর নববর্ষের জীবনচক্র।

নিম্নবিত্ত বাঙালি কি করবে? বাঙালীর অনুকরণ প্রিয়তা আজ পৃথিবী বিখ্যাত। নিম্নবিত্ত বাঙালি নববর্ষের বিশেষ ছাড়ের সুবিধা নিতে কাপড়ের দোকনে, পোশাকের দোকানে, পায়েচলা রাস্তায় ভীড় করে নতুন জামা কিনে ছেলে মেয়েকে দেবে। একটু-আধটু মিষ্টি নোনতা কিনবে, মাছও জুটবে। কাজের বাড়ির বৌদি- কাকিমা খুশি হয়ে কিছু খাবার দিলে সেটা বাড়তি পাওনা।

বৈশাখ মানে চৈত্রের কালবৈশাখী তান্ডবের পরে, কিশলয় সবুজ ঝলমলে সকাল। প্রকৃতির খামখেয়ালি পনার  সঙ্গে তাল ঠুকে এক নীবন্ত স্পর্ধা। বৈশাখের হাত ধরেই ঋতুচক্রের আবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ। এপার বাংলা ওপার বাংলা মিলিয়ে গ্রাম বাংলার মানুষ তাদের নিজ নিজ ইশ্বরের কাছে  নতুন নতুন সুযোগের প্রার্থনা জানিয়ে নতুন বছর শুরু করবে।একলা বৈশাখে, দু:খিত পয়লা বৈশাখে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট