আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কালিয়াগঞ্জের যত্রতত্র চলছে পেট্রল বিক্রি


সোমবার,২৩/০৪/২০১৮
657

পিয়া গুপ্তা ,কালিয়াগঞ্জ : উত্তর দিনাজপুরের বহু হাটে বাজারে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ। ফলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমোদিত পেট্রলপাম্প ছাড়া পেট্রলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে শহরের বাইরে গ্রাম এলাকার মোড়ে মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ,বিবেকানন্দ মোড় ,হাট কালিয়াগঞ্জ  সহ বহ এলাকায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে  পেট্রল ।
দোকানদার এক লিটার অথবা দুই লিটারের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রল ভরে টেবিলের ওপর পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রল কিনতে পারছে। অথচ দাহ্য পদার্থ পেট্রল বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়। বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল, মবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে ফ্লোর পাকাসহ আধপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য। বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না।
তার পরেও কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে এভাবে খোলা বাজারে সমানে বিক্রি চলছে এই সব দাহ্য পদার্থের। গ্রাম এলাকার বহু এলাকাবাসীর অভিযোগ এর ফলে যেকোন মূহূর্তে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে ।
তবে ক্রেতা বিক্রেতারা বলছে, পেট্রোল পাম্পের দূরত্ব বেশি হওয়ায় স্থানীয় দোকানে বিক্রি করতে হয় তাদের। অনেকে বলখেন দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হা্ওয়া বইছে। তাই এসময়টাতে আইন বহির্ভুতভাবে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করা বন্ধের দরকার। ২০১৫ সালে যত্রতত্র পেট্রোল বিক্রির উপর নজরদারি চালালেও এখন সে কার্যক্রমে যে ভাটা পড়েছে তা বর্তমানে গ্রাম থেকে শহরাঞ্চলের ছবি দেখলেই সপষ্ট বোঝা যাবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট