উত্তরদিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির ।বহু প্রচীন ধর্মীয় এই নাট মন্দিরের পরে থাকা জমিতে সংস্থার স্থায়ী আয়ের জন্য বেশ কিছু স্টল বানানোর সিদ্ধান্ত নিল নাটমন্দির কমেটি।ইতিমধ্যেই স্টল বানানোর জন্য নাটমন্দির চত্বরে অবস্থিত বহু গাছ ও কেটে ফেলা হয়ছে।এই ঘটনায় এলাকার মানুষদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ব্যপক গুঞ্জন ও আলোচনা।একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যবসার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কালিয়াগঞ্জ বাসী। ইতিমধ্যেই ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বহু মানুষ নাটমন্দির কমেটির এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে । তাদের হুমকি এই ভাবে ধর্মীয়
নাট মন্দির ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার দানের জায়গা কে নিয়ে যেভাবে কিছু মানুষ নিজেদের ব্যবসার কাজে লাগাচ্ছে তাতে তারা বৃহত্তর আন্দলনে নামবে ।এলাকার মানুষরা ক্ষুব্ধ হয়ে জানান একটা মন্দিরের সমস্ত সৌন্দর্য জলাঞ্জলি দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি ব্যবসা কেন্দ্রে পরিনত করতে যাচ্ছে কিছু অর্থলোভী মানুষ।যা তাদের কাছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধী কাজ বলেই মনে হচ্ছে।মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকার অধিকাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে জানান ৪৫ থেকে ৪৮টি দোকান ঘর যদি নাট মন্দিরের দক্ষিণদিকের জমিতে তৈরী করা হয় তা হলে মন্দির প্রাঙ্গনে বছরের পর বছর ধরে যে মেলা বসত তার ব্যঘাত সৃষ্টিই যে শুধু হবে তাই নয় নাট মন্দিরের সৌন্দর্যের যথেষ্টই ক্ষতি হবে বলে তারা মনে করছে।
এদিকে নাটমন্দিরে পাশ্ববর্তী জায়গা জুড়ে কিছু গোযালারা দুধ বিক্রি করে তাদের জীবনধারন করেন।তাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে জানান বহু বছর ধরে তারা এই নাটমন্দিরে পাশ্ববর্তী এলাকায় দুধ বাজার গড়ে তুলেছিল যা আজ ভেঙে দেওয়ার ফলে তারা বহু সমস্যার মুখে পড়ছে ।তারা জানান দুধ বাজার সরিয়ে বহু টাকা দিয়ে আজ এই জায়গা কে বিক্রি করে স্টল করা হচ্ছে ।ফলে তারা ও ভীষণ ক্ষুব্ধ ।তাদের অনেকের অভিযোগ নাটমন্দির একটি দানের জায়গা আজ কিছু অর্থ লোভী মানুষ এই দানের জায়গা বিক্রি করে ব্যবসা করছে।কালিয়াগঞ্জ বাসীর ধর্মীয় এই নাটমন্দির জুড়ে যেভাবে ব্যবসাক্ষেত্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে বহু মানুষ ক্ষুব্ধ ।
অপরদিকে মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটির সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন তারা কোন ভাবেই নাটমন্দিরের সৌন্দর্যে ব্যঘাত সৃষ্টি করবেনা। বরঞ্চ বর্তমানে যে ভাবে নাটমন্দিরের বিশাল চত্তর পরে থাকে তা থেকে একটি মন্দিরের পরিবেশ তৈরি করবার জন্য এই কমিটি সচেস্ট হয়েছে। সভাপতি সুনীল সাহা বলেন মন্দিরের জমিতে মত ৪৫থেকে৪৮টি স্টল বানানো হবে।স্টলের দুই ধরনের দাম ধার্য করা হয়েছে।একটি ৫লক্ষ ও অপরটি ৩লক্ষ৫০ হাজার করে। সুনীল বাবু বলেন নাট মন্দিরের স্টলের উপর তলায় তৈরী হবে জগন্নাথ দেবের মন্দির এবং যে সমস্ত দরিদ্র ঘরের ছেলেমেয়েরা এখানে কোচিং নিতে আসে তাদের কোচিং ক্লাস করবার ঘর। বানানো হবে সুদৃশ্য গেট।নাট মন্দির কমিটির সম্পাদক মিহির রঞ্জন চৌধরী এক সাক্ষাৎকারে বলেন নাট মন্দিরের প্ৰতি মাসে খরচ হয় ২৫হাজার টাকা করে।
এ ছাড়াও মূল উৎসবের সময় ব্যয় হয় আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬লক্ষ টাকা।নাটমন্দির প্রতিষ্ঠানটির একটি নিদৃষ্ট আয়ের প্রয়োজন।তাই প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সবার সহ যোগীতা নিয়ে আমরা এই কাজে খুব শীঘ্রই হাত দেবেন বলে মিহির্ বাবু জানান।। এদিকে নাট মন্দিরের জমিতে স্টল বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াই কালিয়াগঞ্জের বহু মানুষ আজ ক্ষুব্দ ।তারা এর প্রতিবাদে খুব শীঘ্রই আন্দলনে নামার আগাম হুঁশিয়ারি ও দেন।