প্রচারে এসে ধামসা মাদল এর সাথে কোমর দুলাতে দেখা গেল পূজাকে


শনিবার,০৫/০৫/২০১৮
1167

পিয়া গুপ্তা---

আইনি জটিলতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও অনিশ্চিত থাকলেও প্রচারে একটুও খামতি রাখননি রাজ নৈতিক দলের নেতা কর্মীরা । প্রখর রোদ বৃষ্টি সব কিছুকে উপেক্ষা করেই প্রতিদিন ভোট প্রচারে নামছেন তারা।প্র চারে গিয়ে কখনো ধামসা মাদল হাতে ,কখনো বা আদিবাসী দের সাথে কোমর দুলাতে দেখা  গেল উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের 25 নং জেলা পরিষদের প্রার্থী পূজা আচার্য কে।তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন পূজা আচার্য ।একদিকে ইটাহারের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমল আচার্যের সুযোগ্য কন্যা অন্য দিকে ইটাহারের  পতি রাজ পুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান এই সুবাদে এবারের নজরকাড়া প্রার্থীদের মধ্যে  অন্যতম হলেন পূজা।তাই তার প্রচার ও এবার নজরকাড়া সাধারণ মানুষের কাছে।সকাল হতেই বাবা অমল আচার্যের কাছে প্রণাম করেই পূজা নেমে পড়ছেন প্রচারের ময়দানে ।

মহেশুর,আলডাঙা,সোনাপুর,ঠনঠনিয়া ,বেতর,দক্ষিণাল সহ বহু গ্রামে কড়া রোদে পায়ে হেঁটেই তিনি প্রচার করেন।গ্রামে ঢুকে কখনো গ্রামের মহিলাদের সমস্যা শুনেন কখনো বা আদিবাসী মহিলাদের সাথে ধামসা মাদলের সুরে নেচে প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে আনন্দ করেন।পূজা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে যেভাবে কম সময়ে ইটাহারের উন্নয়ন হয়েছে যা নজির বিহীন ।যা বিগত বামফ্রন্ট সরকার ও করতে পারেননি।উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে এক সময় সব থেকে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি ছিল ইটাহার।কৃষি প্রধান এখানকার মানুষগুলির  একটা সময় খুবই কৃষকদের অসুবিধা হত কৃষিকাজ করতে সঠিক ভাবে সেচের ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ার ফলে। আজ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজী আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসার ফলে এবং ইটাহারের বিধায়ক অমল আচর্য্য অন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

এখন আর ইটাহারে গরমের সময় তেমন অসুবিধা হয় না কারন ইটাহারের প্রত্যন্ত এলাকার ব্যাপক সেচ ব্যাবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে । ফলে কৃষকরা আজ মন দিয়ে তাদের জমিতে ফসল ফলাচ্ছে। শুধু কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ই শুধু হয়েছে তা নয় ইটাহারে যেমন জাতীয় সরখের পাশে একটি উন্নত মানের ব্যাসষ্ট্যান্ড তৈরী হওয়ার ফলে যাত্রী সাচ্ছান্দ্যে আমুল পরিবর্তন হয়েছে তেমন ই গ্রামের রাস্তা ঘাট ও আজ অনেক উন্নত  হয়েছে। পাশা পাশি ইটাহারের মতো ছোট্ট জায়গায় ডিগ্রি কলেজ স্থাপন করে এক শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে ।আজ থেকে ১০ বছর আগের ইটাহার আর এখন কার ইটাহারের মধ্যে অনেক তফাৎ পাওয়া যায় ইটাহারে । আর এই সব উন্নয়ন যার উদ্দ্যেগে হয়ে চলছেন তিনি ইটাহারের উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত ইটাহারের বিধায়ক তথা জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমল আচার্য্য ।

একদিন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অমল বাবু যদি কোন দিন ও সুযোগ পান তাহলে তিনি ইটাহারের মানুষের উন্নয়নে ঝাপিয়ে পড়বেন।যা আজ তিনি সুযোগ পেয়ে একশ শতাংশ কাজে লাগিয়েছেন। পূজা বলেন ইটাহারের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গেলেই বোঝা যাবে অমল বাবু আজ কতটা মানুষের প্রিয় মানুষ হয়ে গিয়েছেন মানুষের পাশের থেকে উন্নয়ন এর জবাব দিয়ে।পূজা বলেন সাধারণ মানুষের চাপে, অনুরোধে এবার ইটাহারের জেলাপরিষধের ২৫ নং আসনে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রাথী হয়েছি।মূলত ইটাহার, দুলর্ভপুর ও পতিরাজ অঞ্চল নিয়ে এই ২৫ নং জেলা পরিষধের আসন।যেখানে মোট পোলিং স্টেশন আছে ৬৮ টি। পুজার বক্তব্য তিনি কোনদিন ও জেলা পরিষধের প্রতিদ্ধন্দিতা করবেন তা ভাবেনি। বাবার জনপ্রিয়তা ও বাবার মানুষের জন্য কাজ করার মনসীকতাই এলাকার মানুষেরা তাকে দাড়াতে বাধ্যে করায়। এদিকে ইটাহারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলে সাধারণ মানুষের জানান  পুজা তাদের ঘরের মেয়ে । ওর মাধ্যেমেই এলাকার মানুষেরা আরো উন্নয়ন দেখতে চাই।

ও অনেক রকম সমাজ সেবার কাজের সাথেই দির্ঘদীন ধরে যুক্ত হয়ে আছে। বিগত দিনে সে প্রতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদ সামলাছেন দক্ষতার সাথে।তাই তার প্রতি  গ্রামের মানুষের আস্থা রয়েছে । ইতিমধ্যে পূজাকে  প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেখা করে আর্শিরবাদ নিতে দেখা যায় ।তার সাথে প্রচারের ফাঁকে কখনো ধামসা মাদল হাতে নিয়ে বাজাতে দেখা যায় কখনো বা আদিবাসীদের সাথে নাচতেও দেখা যায় । ইটাহার, দুর্লভপুর ,পতিরাজ,মহেশুর,আলডাঙা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখা যায় সর্বত্র উন্নয়নের ব্যানার ফ্যাস্টুন। বিরোধীদের কোথাও তেমন ভাবে দেখা যায় নি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট