এবছরও মাধ্যমিকে ভালো ফল করল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার লাঙ্গলবেকী পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল। মোট ১০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৮ উত্তীর্ণ হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে রাজিবুল আহমেদ । প্রাপ্ত নম্বর ৬৩৯।
ভাঙড়ের জিরানগাছায় বাড়ি রাজিবুল এবছর আশে পাশের পোলেরহাট, বাগু স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের থেকে অনেক বেশী নম্বর পেয়েছে। রাজারহাটের বাগু সপ্তপ্রাম সর্ব্বেশ্বর হাইস্কুলে এবছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৩৫, উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩৪ জন ছাত্র ছাত্রী।
সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে অরিত্র নস্কর। প্রাপ্ত নম্বর ৬০৪। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত দাশ মহাশয় বলেন ভালো লাগছে স্কুলের এমন ফলাফলে। আশা করবো পরবর্তিতে আর ভালো ফলফল করবে ছাত্র ছাত্রীরা। অন্যদিকে এলাকার বহু ছাত্র ছাত্রী সমন্বিত পোলেরহাট হাইস্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সৌম মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৭।
সার্বিক পরিকাঠামো, শিক্ষক শিক্ষিকারর দিক দিয়ে লাঙ্গলবেকী গ্রামের পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল অনেক পিছিয়ে। শিক্ষক শিক্ষিকার অভাব দীর্ঘদিনের, নেই ভালো কোন বাথরুম। তা নিয়ে যথেষ্ট আক্ষেপ রয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে। একাধিকবার প্রশাসন কে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। এই স্কুল থেকে এমন রেজাল্ট এ উচ্ছ্বসিত ছাত্র ছাত্রী সহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহসান আলী বলেন, গ্রামের স্কুল, যা ছাত্র ছাত্রী আসে তাদের ভালো রেজাল্ট করতে হবে সেটা শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বলে দিই। সাধ্যমত সীমিত স্যার ম্যাডামরা চেষ্টা করেন। পরিকাঠামো ভালোই আছে বাথরুমের সমস্যা ছাড়া। পরবর্তীতে আর ভালো রেজাল্ট হবে আশা করি।