ভাঙড় কাণ্ডে অন্য মোড়! ‘খুন করেনি আরাবুল’, আদালতে দাবি স্ত্রীর


শুক্রবার,০৮/০৬/২০১৮
956

কাজী হাফিজুল---

পঞ্চায়েত ভোটের দিন কয়েক আগে নিহত হাফিজুল রহমান মোল্লা খুনের ঘটনায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ফাঁসির দাবিতে অনড় ছিলেন তাঁর স্ত্রী সাবেরা খাতুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ধৃত আরাবুল সেই ঘটনায় এখনও কয়দীখানায় । এই ঘটনার এখনও মাস ঘোরেনি, কিন্তু একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নিহতের স্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভোল বদল করে আরাবুল এই ঘটনায় জড়িত নয় বলে বারুইপুর আদালতে হলফনামা দিলেন। আর এই ঘটনায় নতুন করে পারদ চড়ছে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনে। আর নিহতের স্ত্রীর এই একটা বক্তব্যেই মোড় ঘুরিয়ে দিল ভাঙড় কাণ্ডর।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে ভাঙড়ে জমি রক্ষা কমিটির নির্দল প্রার্থীর নির্বাচনী মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে ভাঙড়ে শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে । মুখে গুলি লেখে মৃত্যু হয় মিছিলের সামনের সারিতে থাকা হাফিজুল রহমান মোল্লার। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে।

সুত্রের খবর, নিহত স্ত্রী সাবেরা খাতুন বারুইপুর মহকুমা আদালতে হলফনামা দিয়ে দাবি করেন, তাঁর স্বামীর খুনের ঘটনায় আরাবুল ইসলাম জড়িত নয়। এরপরই আরাবুলের আইনজীবীরা এই হলফনামার উপর ভিত্তি করে তাঁদের মক্কেলের জামিনের আবেদন জানায়। বারুইপুর মহকুমা আদালতের এডিজে পরেশচন্দ্র কর্মকার কাশিপুর থানার পুলিশকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে জানাতে বলেছে যে, হাফিজুলের স্ত্রী সাবেরা খাতুন সেচ্ছায় এই বয়ান এভিডেবিট করেছেন কিনা। আগামী ১৩ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানী হবে। এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “আদালতের রায়ের কপি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
হাফিজুলের স্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর থেকেই ভাঙড়ে ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে৷ এ বিষয়ে জমি কমিটির নেতা মোসারেফ হোসেন এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, “তৃণমূল ও পুলিশ একযোগে সদ্য স্বামীহারা সাবেরা খাতুনকে দিয়ে জোর করে মিথ্যা কথা বলিয়েছে। ঘটনার দিন, সাবেরা খাতুন গ্রামেই ছিলেন না। বিয়ের পর তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন এবং শ্বশুর বাড়ির গ্রামে ফেরেন স্বামী খুন হওয়ার পর। তখন আমরা দেখেছি, তিনি বারেবারে তাঁর স্বামীর হত্যাকারী আরাবুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।” তিনি আরও বলেন বৌ ত কেশ করেনি ওর ভাই অলিল মোল্লা করেছিল আমরা এদাবী মানছি না। আন্দলনকারী এক যুবক বলেন, ‘‘আরাবুলের প্রচুর টাকা আছে৷ গরীব হাফিজুলের স্ত্রী সাবেরা খাতুনকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে।”

এক আরাবুল অনুগামীর বক্তব্য, ‘‘আবারও প্রমাণ হল আমাদের দাদা নির্দোষ৷ দাদা খুব তাড়াতাড়ি এলাকায় ফিরবে এবং নতুন করে উন্নয়ন শুরু করবে ।”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট