বৈদ্যুতিক আলোর কাছে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে দেওয়ালি পুতুলের চাহিদা


রবিবার,২৮/১০/২০১৮
612

বাংলা এক্সপ্রেস---

ঝাড়গ্রাম: প্রদীপ হার মেনেছে আধুনিক বৈদ্যুতিক আলোর কাছে। এ বার দীপাবলিতে এলইডির দাপট। রঙিন এই আলোর নানা নকশার কাছে প্রদীপ, ডিবরি, কুপি এমনকী মোমবাতির বাজারও মার খেয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু ঝাড়গ্রামের ঐতিহ্যশালী দেওয়ালি পুতুল। প্রতিযোগিতায় এখনও অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে সে! দেওয়ালি উৎসবের সময় ঝাড়গ্রাম ও তার আশপাশে এখনও এই পুতুল ব্যবহৃত হয়। মাঝে এক সময় বিক্রি তলানিতে এসে ঠেকেছিল। বছর কয়েক হল ফের বিক্রি বেড়েছে।

মৃৎশিল্পীর কথায়, “বৈদ্যুতিক আলোর দাপটে প্রদীপ-ডিবরির চাহিদা অনেকটাই কমেছে। দেওয়ালি পুতুল অবশ্য এখনও টিকে আছে। আগের বছর বিক্রি ভালই হয়েছে কিন্তু এ বছরও বিক্রি কেমন হবে সেটাই ভাবাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের। দেওয়ালি পুতুল তৈরিতে যেমন হাতের কাজ থাকে, তেমন চাক- ছাঁচেরও সাহায্য নেওয়া হয়। কোনও পুতুলে দু’টি হাত থাকে। আবার কোনও পুতুলে আবার আট- দশটিও হাত থাকে।

এই পুতুলগুলোয় থাকে প্রদীপ বা ডিবরি বসানোর ব্যবস্থা। এক- একটির আবার এক-এক রকম উচ্চতা। দশ-বারো ইঞ্চি থেকে শুরু। দু’-তিন ফুটেরও হয়। অবশ্য এখন দু’-তিন ফুটের দেওয়ালি পুতুল খুব কমই তৈরি হয়। মৃৎশিল্পীর কথায়, “বেশি উচ্চতার পুতুল অনেকে কিনতে চান না। তৈরি করলে পড়েই থাকে। তাই কেউ বরাত দিলেই দু’-তিন ফুটের পুতুল তৈরি করি। সাধারণত, ছোট পুতুলই বেশি বিক্রি হয়।”

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট