আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলার কন্যা সুপর্না


বুধবার,১৪/১১/২০১৮
430

বাংলা এক্সপ্রেস---

পশ্চিম মেদিনীপুর: আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কিন্তু বাধা নয়,সেই বাধা কাটিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলার কন্যা। একক প্রচেষ্টায় নিপুন হস্তশিল্পে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিল গ্রামের মেয়ে সুপর্না কুইল্যা। বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে দাঁতন ২ ব্লকের সোহাগপুরের মেয়ে সুপর্না কুইল্যা। মেয়ে বড় শিল্পী হয়ে উঠুক চান বাবা বিমল কুইল্যা। প্রসঙ্গত কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াকালিন আর্থিক নানাবিধ কারবনে পড়াশুনা বন্ধ করে দিতে হয় সুপর্নাকে। তবে পড়া থেকে বঞ্চিত হয়েই শুধু নয় মেয়েরাও যে পারে তা বুঝিয়ে দিয়েছে সুপর্না।পেপার কাটিং এর দক্ষতা তাকে দিয়েছে এক অনন্য নজির।

স্থানীয় বেশ কয়েক জায়গায় হস্তশিল্পের প্রতিযোগিতায় সুপর্না ছিনিয়ে এনেছে প্রথম দ্বিতীয় নানা পুরস্কার। লক্ষ্য শুধু বড় শিল্পী হয়ে বাবার মুখে হাসি ফোটানো। বিভিন্ন বাধাবিপত্তি এড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম সোহাগপুরে থেকেই পড়াশুনা করত সে। বিভিন্ন হস্তশিল্পের পাশাপাশি পেপার কাটিংজাত নানা হস্তশিল্পের তীক্ষ্ম দক্ষতা শিল্পী সুপর্নার। তা কিন্তু কোন শিক্ষকের তালিমে নয়।সম্পুর্ন একক প্রচেষ্টায়। কখনও কোন হস্তশিল্প মেলায় দেখে, আবার কখনও কোন প্রদর্শনী দেখে, আবার কখনও বন্ধু-বান্ধবীদের মোবাইলে গুগলে সার্চ করে। এই থেকে বড় হয়ে উঠা কিন্তু কোন সাহায্য ছাড়াই আজ শিল্পী সুপর্না অন্ধকারে।

বাবা বিমল কুইল্যার কথায়-” কারুর কাছে কোনরকম সাহায্য ছাড়া মেয়ে নিজে এসব শিখেছে “। কোন কোন জায়গায় প্রতিযোগিতায় যায়।পড়াশোনাও আর্থিক কারণে বন্ধ। সরকারি কোন সাহায্য পেলে তার পড়াশুনার পাশাপাশি হস্তশিল্পেটাকেও আরো ভালো ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। “শখের বশে করে হস্তশিল্পের নানান কাজ। সাধারণ কাজের থেকে একটু আলাদা শিল্পী সুপর্নার হস্তশিল্প। পেপার কাটিং এ পুর্ব মেদিনীপুর জেলায় এক গ্রামীণ হস্তশিল্প মেলায় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার আনলেও আর্থিক অনটন ঘুছাতে পারেনি।

সুপর্না দাস জানিয়েছেন-“আর্থিক অস্বচ্ছ্বলতার কারণের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কোন শিক্ষক ছাড়াই এই কাজ শিখেছি।কাগজ কেটে নানা জিনিস বানাই।কাউকে এমনি দিয়ে দেই। কোথায় কিভাবে বাজারজাত করতে হবে জানিনা। বেশ কয়েকটা মেলাতে এইসব প্রদর্শিত হয় দেখেছি, ভালো লাগতো। তারপর থেকেই আগ্রহ জন্মায়। “সরকারী সাহায্য পেলে শুধু কারুকাজ নয় নিজের ভবিষ্যতে পড়াশুনাও চালিয়ে যেতে চায় সুপর্না কুইল্যা। তিনি বলেন-“নিশ্চয়ই সরকারী ভাবে সাহায্য পেলে আমার পেপার কাটিং এর পাশাপাশি উচ্চতর পড়াশুনাও করব।” সরকারী সাহায্যের দিকে তাকিয়ে শিল্পী সহ তার পরিবার। অর্থ প্রতিবন্ধকতা হতে পারেনা তবে এই প্রতিকূলতাকে এড়িয়ে বড় শিল্পী হতে চায় সুপর্না।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট