‘এগিয়ে বাংলা’ য় পৌর এলাকাতেই ভরসা পাতকুয়োই


সোমবার,১৯/১১/২০১৮
448

বাংলা এক্সপ্রেস---

নিজস্ব সংবাদদাতা : একুশ শতকের ভারতের প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামও যখন নলবাহিত পানীয়জলের জন্য তৈরী হচ্ছে তখন মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ‘এগিয়ে বাংলা’ র পৌরসভায় ভরসা পাতকুয়ো! না , এ পৌরসভা আবার এমনটা নয় যে সে সদ্য পঞ্চায়েতের তকমা কাটিয়ে উঠেছে। ১৫০ বছর অতিক্রান্ত এই পৌরসভার নাম মেদিনীপুর পৌরসভা। খোদ জেলা শহরের এই পৌরসভার এক অংশের নাগরিকদের ভরসা এখন পাতকুয়োই। কারন গত চার মাস ধরে অকেজো পৌরসভার এই অংশের জল সরবরাহ ব্যবস্থা।

পৌরসভার ২২নম্বর ওয়ার্ড বা অরবিন্দনগরের এই বাসিন্দারা আবার জেলা আদালতের প্রায় গাঘেঁষেই অবস্থান করেন। ১২টি পরিবারের প্রায় ৮০জন সদস্যের আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য দিনের জলের ব্যবহার । পৌরসভার জল সরবরাহ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ায় ১৮ থেকে ৮০ সবাইকেই টানতে হয় পাতকুয়োর দড়ি। ৬০ থেকে ৮০ফুট নীচে থেকেই জল টেনে উপরে এনে ব্যবহার দিনের সর্বাধিক দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারন নাগরিকদের। কলেজ পড়ুয়া অর্পিতা ভট্টাচার্য্য জানালেন , বারংবার ছুটে যাওয়া হয়েছে এলাকার কাউন্সিলার , জলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপারিষদ সদস্যা কিংবা পুরসভাতেও কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আজ বলে পাম্প পুড়ে গেছে , কাল বলে জলের পাইপ ফেটে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

৮০ বছরের কমলা ঘোষ জানালেন , পাতকুয়োর জল তুলে সমস্ত কাজ করতে হয় আমাকে কিংবা আমার বৌমাকেই। এত নীচে জল যে কাজের মেয়েও জল তুলে কাজ করতে চায়না । এদিকে এই জল ব্যবহার করায় শরীর খারাপ হচ্ছে। কোনওই ভ্রুক্ষেপ নেই পৌরসভার। স্থানীয় কাউন্সিলার রাধারানী বেরা বলেন , এটা মূল পাম্পের সমস্যা আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি। জলের দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যা মৌ রায় বলেন , বারবার পাম্প পুড়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা দেখছি।

পুরসভার একটি সুত্রে জানা গেছে ওই এলাকায় তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের প্রতিফলন এই সমস্যা। কাউন্সিলরের বিরোধী গোষ্ঠির কলকাঠিতে উন্নয়নের সমস্যা হচ্ছে । উদ্দেশ্যে কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরী করা যাতে প্রায় ঘোষিত হতে যাওয়া পুরনির্বাচনে টিকিট না পান তিনি। এলাকার এক মহিলা জানালেন, এই এলাকায় পুরকরের পরিমান সব চেয়ে বেশী। তাও অবহেলিত এই এলাকা । দিনের বেশির ভাগ সময় যদি জল তুলতেই চলে যায় তবে বাকি কাজ করব কখন। তাছাড়া জল তুলতে তুলতে শরীর ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে আর এই জল খাওয়াও নিরাপদ নয় ! এই নাকি দিদির এগিয়ে থাকা বাংলা ?

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট