শুরু হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। এদিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা সদস্যদের আনা তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তর দেন। অধিবেশনের প্রথম দিন মাত্র তিনটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন আনেন ট্রেজারি ও বিরোধী ব্যাঞ্চের বিধায়করা। এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেন শিক্ষা ও সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ, সমাজকল্যাণ ও প্রাণীসম্পদ দফতরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। এছাড়া সাধারণ প্রশ্নের উত্তর সকল বিধায়কদের হাতে লিখিতভাবে দেওয়া হয়। এদিন ত্রিপুরার উত্তর জেলার অন্তর্গত কৈলাসহরের একটি স্কুলের প্রশ্নপত্র নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা।
প্রশ্নোত্তর পর্বের পর বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের কাছে জানতে চান একটি স্কুলের মাসিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রাজনৈতিক দল বিজেপি সম্পর্কে লিখতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে সিপিআইএম-এর তরফে দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর সরকারের সমালোচনা করেন। দফতর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা জানতে চান তিনি। এর উত্তরে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, তিনি সংবাদ মাধ্যমে তা দেখার পর সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেছিলেন।
কিন্তু পরবর্তী সময় ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদিত পাঠ্যবই দেখে তিনি আবার নির্দেশ দেন ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। এর কারণ, স্কুলের পাঠ্যবইয়েও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে লেখা রয়েছে। এমন-কি ভোট, ভোটে রিগিঙের মতো স্পর্শকাতর বিষয় উল্লেখ রয়েছে। তিনি এমন কিছু বই বিধানসভায় দেখান যেগুলিতে এ সব বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই বইগুলি বামফ্রন্ট সরকারের সময় ত্রিপুরা রাজ্যের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, দীর্ঘ বছর বামফ্রন্ট রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের অনৈতিক বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে এসেছে এবং সমালোচনা করার আগে বিজন ধরের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল বলে বিধানসভায় মন্তব্য করেন মন্ত্রী। বিজেপিকে এ ব্যাপার প্রশ্ন করে অনৈতিক কিছু হয়নি বরং ভালো হয়েছে বলেও সদনকে জানান শিক্ষামন্ত্রী।