জগৎবল্লভপুরে বিপজ্জনক সেতু দিয়ে যাতায়াত


মঙ্গলবার,০৪/১২/২০১৮
466

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া: জগৎবল্লভপুর থানার ইছানগরীতে কানা দামোদর নদীর উপর তৈরি বিপজ্জনক সেতু দিয়ে পারাপার চলছে অবাধে।প্রায় ৪ ফুট চওড়া ২০ ফুট লম্বা সেতুটি। সেতুটির দুই প্রান্তে কয়েক হাজার মানুষের বাস। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ এই সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করেন। আগে সেতুটি ছিল কাঠের তৈরি, এর উপর দিয়েই মার্টিন রেল চলতো। মার্টিন রেল বন্ধের পর নানা কারণে সেতুটি ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।বামফ্রন্ট জামানার প্রথমদিকে জগৎবল্লভপুর ১ নং পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সেতুটির দুই পাশে রেলিং দিয়ে কংক্রিটের করা হয়।

পরবর্তীকালে সেতুর রেলিং ভেঙে গেলেও তা আর সংস্কার করা হয়নি দীর্ঘকাল। সেতু পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে জখম হয়েছেন অনেকে।রাকেশ নায়েক নামে এক বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন আগে ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ে পড়ে গিয়ে সাংঘাতিক ভাবে জখম হয়েছেন ইছানগরী গ্রামেরই এক ভ্যান চালক। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে তিনি সুস্থ হন। প্রায়শই এই ধরনের ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানান এলাকার বাসিন্দা ভরত দাস নুরুদ্দিন ও রমজান আলীরা।বহুদিন ধরেই সেতু সংস্কারের দাবি জানালেও প্রশাসন কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।উল্লেখ্য সেতুটির পশ্চিম প্রান্ত ইছানগরী জগৎবল্লভপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এবং পূর্ব প্রান্ত ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এর মধ্যে পড়ছে।

এ বিষয়ে জগৎবল্লভপুর ১ নং পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ নুর ইসলাম জানান,সম্প্রতি কানা দামোদর খাল সংস্কারের সময় ইরিগ্ৰেশন অফিসারদের নজরে বিষয়টা জানিয়ে দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। জগৎবল্লভপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জন কুন্ডু বলেন, সেতুটি বিপজ্জনক জেনেও গ্রামবাসীদের দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি বিগত বিরোধী বামফ্রন্ট পঞ্চায়েত। সবেমাত্র এই পঞ্চায়েতটি দখলে এসেছে। এখন উভয় পঞ্চায়েত যৌথভাবে পূর্ত দপ্তর,জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির কাছে সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাবেন।তার আগে অস্থায়ীভাবে বাঁশ কাঠ দিয়ে রেলিং তৈরি করে আপাতত বিপদের একটা কিনারা করবেন বলে জানান তিনি। সেতুটি অতিশীঘ্রই সংস্কার করে প্রশাসন এলাকা বাসিকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করুক স্থানীয় মানুষের দাবী।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট