পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতি ভাঙাতে এলে তৃণমূল কর্মীদের পুঁতে ফেলা হবে, উর্দি খুলে চামড়া তুলে নেওয়া হবে পুলিশের।পুলিশ বলে ক্ষমা করা হবে না। ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ চালালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য পাঁচ রাজ্যে হারের পর কেশিয়াড়ি সভাই বিজেপির প্রথম সভা, ঠিক সেই সভা থেকেই তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তৃণমূলকে ছাগলের তৃতীয় সন্তান বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হয় কেশিয়াড়িতে।
পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীর নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেসিআড়িতে এসে সাংগঠনিক ক্ষমতা তুলে দেন রাজ্যে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। উদ্দেশ্য ক্ষমতা ফিরিয়ে এনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত দখল করা। এ প্রসঙ্গে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, কংগ্রেস ভেঙেছেন, সিপিএম ভেঙেছেন, বিজেপিকে ভাঙতে চাইলে সরকার ভেঙে দেবো। কংগ্রেস প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস আইসিইউতে চলে গিয়েছে। তাই ক্ষমতা দখলে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের। বিজেপির এই হুংকারে তৃণমূল কি আদৌ পিছিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।