সাজবে জঙ্গলমহল, পর্যটন প্রসারে জঙ্গলমহলে গৌতম দেব


শুক্রবার,২১/১২/২০১৮
614

কার্ত্তিক গুহ---

ঝাড়গ্রাম: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর ঘন সবুজ অরণ্য আর নদী-পাহাড়ে ঘেরা জঙ্গলমহল। এক কথায় পর্যটনের তীর্থ ভূমি হল জঙ্গল মহল। পাহাড়, নদী, খাল, শাল-মহুলের হাতছানি জঙ্গল মহলকে আরও সুন্দরী করে তুলেছে। সেই সুন্দরের মাঝ খানে উঁকি দেয় কংসাবতি, সুবর্ণরেখা, ডুলুং নদী। পর্যটনের একেবারে আদর্শ স্থান। বাংলা এমনকি বিদেশিরাও ভিড় জমান জঙ্গল মহলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু নানা কারণে এ স্থান এতদিন বঞ্চনা আর অবহেলার শিকার হয়ে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান সরকার এখানকার পর্যটনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে জঙ্গলমহল সফরে এসেছে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে আসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ,রাত্রিবাস করেন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির টুরিষ্ট কমপ্লেক্সে।

শুক্রবার মন্ত্রী গৌতম দেব ঝাড়গ্রাম জেলার বেশ কয়েকটি দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরে দেখেন। যার মধ্যে ছিল গপিবল্লভপুরের হাতিবাড়ি,রামেশ্বরমন্দির ও তপোবন,ঝিল্লি পাখিরালয়।এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানী এ, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত,ঝাড়গ্রাম মহকুমাশাষক সুবর্ন রায়।

শুক্রবার গৌতম দেব ঘুরে দেখেন জঙ্গল মহলের অপরুপ সৌন্দর্য্য। ঘুরে দেখেন ঝাড়গ্রাম জেলার গপিবল্লভপুরের হাতিবাড়ি,রামেশ্বরমন্দির ও তপোবন,ঝিল্লি পাখিরালয় ঘুরে দেখেন। প্রথমেই গোপিবল্লভপুরের রামেশ্বর মন্দির গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দেন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং মন্দির প্রাঙ্গন ও রামেশ্বর মন্দির ঘুরে দেখেন এছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যটন দপ্তরের ওয়েবসাইট তুলে ধরার কথা বলেন। এরপর মন্ত্রী তপোবনে যান তপোবনের খালের উপরে কাঠের ব্রীজ টি কে শক্ত পক্ত করার কথা বলেন। মন্দিরের ভিতরে জলাশয়টিকে সুন্দর ভাবে তৈরী করার কথা বলেন।

নয়াগ্রামের সমষ্টিউন্ময়ন আধিকারিক সৌরেন্দ নাথ পতি মন্ত্রীকে জানান যে এই জায়গাটি বন দপ্তরের আওতাধীন এখানে সাজানো গোছানোর ইচ্ছা থাকলেও আমাদের কোন উপায় নেই। মন্ত্রী জেলা শাসক কে বলেন আপনি সমস্ত তথ্য আমাকে পাঠান আমি বনদপ্তরের সচিব ইন্দিবর পান্ডের সঙ্গে কথা বলব। এত সুন্দর এলাকাকে কিভাবে সাজানো যায় দেখছি ।এরপরে মন্ত্রী হাতিবাড়ী আর ঝিল্লি পাখিরালয় ঘুরে দেখেন এবং জানান পর্যটকরা যাতে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করে পারেন তার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। পর্যটন স্থান গুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও গাইড হিসেবে নিয়োগ করা হবে স্থানীয় আদিবাসী যুবকদের। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি, এলাকায় কর্ম সংস্থানও তৈরি হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট