ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ক্যান্সার হাসপাতাল


বুধবার,২০/০২/২০১৯
533

বাংলা এক্সপ্রেস---

অ্যালোপ্যাথি ওষুধ বা কেমোর  প্রয়োগ ছাড়াও ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও নানান ম্যানেজমেন্ট থাকে যেগুলি ক্যান্সার রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। তাই এবার ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহযোগিতায়  গড়ে তোলা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি ক্যান্সার হাসপাতাল। ডক্টর এস বি লাইফ ক্যান্সার রিসার্চ ফাউন্ডেশন -এর উদ্যোগে এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহযোগিতায় এই হাসপাতালের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে 17 ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে চালু হল হোমিওপ্যাথি ক্যান্সার হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ।

দক্ষিণ দমদম এর ক্ষুদিরাম বসু সারণী তে  এই আউটডোর বিভাগের দ্বারোদ্ঘাটন করেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ক্যান্সার চিকিৎসার নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ। এবার হোমিওপ্যাথিতে ক্যান্সার চিকিৎসার উপর কুড়ি বেডের হাসপাতাল তারা তৈরি করতে চলেছে ।এদিন কালিন্দীতে আউটডোর বিভাগ চালু করা হলো। তবে হাসপাতাল তৈরি করার জন্য যে জায়গার প্রয়োজন কালিন্দীতে পর্যাপ্ত  জমি না থাকায় অন্য কোথায় সেই হাসপাতাল তৈরি করা যায় তার জন্য জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে।

সংস্থার সভাপতি সৌগত ভট্টাচার্য্য বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি  ছাড়াও অন্যান্য কিছু ম্যানেজমেন্ট লাগে । রক্ত দেওয়া, আইবি ফ্লুইড চালানো, স্যালাইন দেওয়া ,অক্সিজেন দেওয়া এগুলি কোনও প্যথির মধ্যেই পড়ে না ।অথচ প্রত্যেকটা প্যথিতে এর প্রয়োজন আছে। এখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি সেইসব ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবস্থা করে  যত শীঘ্র সম্ভব এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।

এদিন থেকে যে আউটডোর সেন্টার চালু হল সেখানে খুবই ন্যূনতম খরচে এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বেশ কিছু বিদেশি ওষুধ যেগুলি ক্যান্সারের ব্যথা কমানোর জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে যাতে সেই ওষুধ গরিব মানুষের মধ্যে কম খরচে দেওয়া যায় এই আউটডোরের লক্ষ্য সেটাই। এছাড়া হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার সঙ্গে যোগ চিকিৎসার যাতে সহযোগিতা দেওয়া যায় তারও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান
যোগ  ও ন্যাচারপ্যাথি কাউন্সিলের সদস্য উজ্জল কুমার ঘোষ।

উপস্থিত ছিলেন প্রণবানন্দ যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক পীযূষ চ্যাটার্জী, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আব্দুল রহিম ও স্থানীয় পুরমাতা  মুনমুন চ্যাটার্জী ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরো প্রধান পাচু রায় প্রমূখ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট