ফিরে দেখা ২০১৯: বাংলাদেশের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে


বুধবার,০১/০১/২০২০
765

পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান বসছে। এ স্প্যানটি ১৮১৯ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়। এতে দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার। এর আগে ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ১৯তম স্প্যান। তখন দৃশ্যমান হয় ২ হাজার ৮৫০ মিটার সেতু। এখন থেকে প্রতি মাসে বসবে তিনটি করে স্প্যান। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান (আজ) মঙ্গলবার বসবে। আগামী জুলাইয়ে সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ হবে। এখন থেকে প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানো হবে। পদ্মা সেতুর কাজ ২০২১ জুনে শেষ হবে। এখন পর্যন্ত সেতুর সার্বিক ৭৫ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে আর মূল সেতু অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ ভাগ। আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জন্য বিজয়ী হওয়ার চ্যালেঞ্জ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের এ সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

আমরা এ ধরনের নির্বাচন চাইছি। এজন্য হারি জিতি নাহি লাজ। এদিকে, শতভাগ শেষ হয় পদ্মা সেতুর নকশা জটিলতায় আলোচিত সেই ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির কাজ। সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জটিল ছিল এ দুটি। চার বছর আগে এ দুটি খুঁটিতে জটিলতা দেখা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। বিশ্বে এর আগে কোথাও হয়নিএমন একটি পদ্ধতিতে এ দুটি খুঁটির জটিলতা কাটিয়ে চলতি মাসে শতভাগ কাজ শেষ করতে পারাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে সেতু কর্তৃপক্ষ। চার বছর আগে আনুষ্ঠানিক শুরু পদ্মা সেতুর খুঁটি বসানো। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো কাজ ধরা হয় ৬ নম্বর খুঁটিতে। তখনই জানা যায়, যে নকশায় সেতু হওয়ার কথা, কয়েকটি খুঁটির ক্ষেত্রে সেটা কাজে দেবে না। মূলত একটি খুঁটিতে ছয়টি করে পাইল এবং প্রতি পাইলে ১২৪ মিটার দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পাইল মাটিতে প্রবেশ করানোর পর নদীর এ স্থানে কোনোভাবেই শক্ত মাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর একে একে এ জটিলতা দেখা দেয় আরো ১৪টি খুঁটিতে। এ অবস্থায় পুরো সেতুর কাজ নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

পরে প্রায় দেড় বছর সময় লাগে সমাধান পেতে। দৈর্ঘ্য না বাড়িয়ে পাইলের সংখ্যা ছয়টির জায়গায় সাতটি করে বসানোর সিদ্ধান্ত আসে। সাত মাস আগে নতুন নকশায় কাজও শুরু হয়। তবে সবার দৃষ্টি ছিল বহুল আলোচিত ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের দিকে। কারণ এখানে নদীর তলদেশের মাটি সবচেয়ে বেশি রহস্যময়। স্টিলের পাইলে ট্যাম প্রযুক্তি সংযোজন করে, বিশ্বে আর কোথাও হয়নিএমন একটি প্রযুক্তিতে এ দুটি পিলারের পুরো কাজ শেষ করা হয়। পদ্মা সেতুর প্রথম দুটি পিলার হওয়ার কথা ছিল ৬ ও ৭ নম্বর। এ দুটি খুঁটির নির্ধারিত স্প্যান অনেক আগেই তৈরি করে ফেলায় এতদিন সেটি ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর অস্থায়ীভাবে রাখা আছে। এখন ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটি তৈরি হয়ে যাওয়ায় শিগগিরই এ স্প্যানটি সরিয়ে আনা হবে নির্ধারিত খুঁটিতে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট