চলো যাই : জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
বৈশাখী দাস
দেখা হয় নি দুই পা ফেলিয়া
একটি ঘাসের ওপর একটি শিশির বিন্দু
আমার ও সেই রকম অবস্থা ।শান্তিনিকেতন 5/6বার গেছি কিন্তু বাড়ির এত কাছে জোড়াসাঁকো যাওয়া হয় নি।আজ ঘুরে এলাম ঠাকুর বাড়ি।
রবিঠাকুরের Museum এ সব কিছু এত সুন্দর করে সাজানো আছে যা শুধু অনুভূতির ব্যাপার।বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই।দুচোখ ভরে দেখলাম ।মন ভরে গেল।ঠাকুর বাড়ির আঁতুড় ঘর দেখলাম।দেখলাম মৃণালিনী দেবীর রান্নাঘর ও।ঠাকুরের খাবার ঘর সাজসজ্জা বসার chair শোবার খাট সব দেখলাম। দুচোখের পাতা সত্যি ভিজে আসছিল যখন দেখলাম ঠাকুরের শেষ সময়ের ছবি আর শেষ যাত্রার ছবি।পাথর ঘর যেখানে ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।আরো কত কি জানলাম।আমার আট বছরের কন্যাকেও যতটা পারলাম বুজিয়ে বললাম।নতুন প্রজন্মের খুব প্রয়োজন এগুলো জানা।।রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিকড়।তাই এই শিকড়ের টান নতুন প্রজন্মের অনুভূতিতে ছড়িয়ে দেওয়া খুব প্রয়োজন।
শুধু কবিগুরু নন অন্য সদস্যদের ও ব্যবহৃত জিনিস সযত্নে রাখা আছে।
পাশেই কালি কৃষ্ণ tagore স্ট্রিট এ বিষ্ণু মন্দিরটিও বেশ সুন্দর।
কিছু জরুরি তথ্য
1)ঠাকুর বাড়ির ঢোকার সামনেই ফ্রী পার্কিং আছে
2)Museum এ ঘোরার সময় অবশ্যই গাইড নেবেন।ফ্রী তে পাওয়া যায়।
বৈশাখী দাস