অর্জুন গড় ধ্বংস


বৃহস্পতিবার,০২/০১/২০২০
736

গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পৌরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। নিয়ম অনুযায়ী ২০ দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করাতে হয়। কিন্তু ২০ দিনের মাথায় বিজেপি পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান আরও ২০ দিন পর বৈঠকের তারিখ ধার্য করেন। যা নিয়মবহির্ভূত বলেই দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরদের। এদিন অনাস্থা ভোটে বিজয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেন ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ডাকেন কিনা সেই অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান অনাস্থা বৈঠক না ডাকার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিনজন কাউন্সিলর এই অনাস্থা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিল। সেই বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছিল ২ জানুয়ারি। এই তিন কাউন্সিলরের ডাকা বৈঠক আইন সঙ্গত নয় এই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির কাউন্সিলররা। আর সেই অভিযোগ তুলে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে এদিন অনাস্থা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভাটপাড়া পৌরসভায়। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন এই বৈঠকে।

১৯-০ ভোটে বিজয়ী হয়ে বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল এই পুরসভা। কে চেয়ারম্যান হবেন তা দল সিদ্ধান্ত নেবে বলে এদিন জানিয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ডামাডোল চলছে ভাটপাড়ায়। রাজনৈতিক শক্তি বদল এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় বিধায়ক অর্জুন সিং দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ভাটপাড়া উত্তপ্ত। পরবর্তীতে অর্জুন সিং বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী কে পরাজিত করে বিজয়ী হন। অর্জুন সিং এর এই জয়লাভের পর থেকেই ভাটপাড়া সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একের পর এক পুরসভা বিজেপি দখল করে নেয়। পরবর্তীতে হালিশহর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া সহ অন্যান্য পুরসভা তৃণমূল পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়েছিল।

কিন্তু কাঁটার মতো বিঁধে ছিল অর্জুন সিং এর গড় ভাটপাড়ায়। বিজেপির দখলে থাকা সেই একটিমাত্র পুরসভাও এদিন তৃণমূল নিজেদের দখলে নিয়ে এলো। ভাটপাড়া পুনর্দখলে বেজায় খুশি তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। ফিরহাদ হাকিম থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রত্যেকেই এ দিন অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে কামান দেখেছেন।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট