কনকনে ঠান্ডায় চনমনে পুরুষোত্তম পুর


শনিবার,০৪/০১/২০২০
1098

কনকনে ঠান্ডায় চনমনে পুরুষোত্তম পুর

সংযুক্তা ভট্টাচার্য

কনকনে ঠান্ডায় চনমনে হয়ে বেড়িয়ে পরলাম। বেশিদূর নয়, ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া পুরুষোত্তম পুর। নামটা নিশ্চয়ই অচেনা? মন্দারমণির ঠিক পরে। ভোর ছটায় যাত্রা শুরু বাস এ করে ঠিক দশটা নাগাদ চাউল খোলা, তারপর অটোয় দশ মিনিট। প্রচন্ড ঠান্ডা হাওয়ায় হাড় গুলো থেকে ঠকঠক শব্দ আসছিল। সরু গ্রামের রাস্তার ঠিক মাঝখানে নেমে পরতে হলো। তাল, সুপুরি,কলা, ঝাউ সব গাছ মিলেমিশে সবুজ গ্রাম। পায়ে পায়ে সবজির চাষ, ওলকপি, টমেটো, আরো কতো কিছু। সামনে সার দিয়ে টেন্ট পাতা। ছোটো ছোটো টেন্ট হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে হবে। এখানে এলে যে শুধু টেন্টে থাকতে হবে তার কোনও মানে নেই ,থাকার আরো অনেক বন্দোবস্ত রয়েছে। এবার আমাদের সাথে রয়েছেন আর এক দাদা বৌদি আর মিষ্টি মেয়ে মিঠি। ব্যাগ গুলো টেন্টে কোনোমতে রেখে চললাম সমুদ্র দেখতে সামান্য হেঁটেই পেয়ে গেলাম আমার সমুদ্দুর। রোদে ঝিলমিল করছে শান্ত সমুদ্র। ছোটো ছোটো ঢেউ পা ভিজিয়ে ফিরে যাচ্ছে নিজের খেয়ালে। ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিলাম মন। চারদিকে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ আর জল। সমুদ্র যেন শুধু ই আমাদের ,আর কোত্থাও কেউ নেই। ছেলে মেয়ে দুটো বালি দিয়ে বানালো মন্দির। আবার নিজেরাই সব ভেঙে চুরমার করলো।

জলখেলা শেষ করে ফিরলাম টেন্টে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার সমুদ্রের কাছে। কিন্তু ততোক্ষণে ভাটার টানে সমুদ্র অনেক দূরে। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাওয়া যায় মন্দারমণি। লাল কাঁকড়ার দল যতদূর সম্ভব লেপমুড়ি দিয়ে গর্তে ঢুকেছে তাই সমুদ্র পাড়ে তাদের গর্ত থাকলেও তারা নেই। সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রলার গুলো নিজের মতো প্রহর গুনছে। সমুদ্রের বুকে ডুবে যাচ্ছে ক্লান্ত রবি। গেরুয়া জলে ভেসে আসছে শান্ত ঢেউ ফিরে চললাম টেন্টে। ওখানে আজ আগুন জ্বালানো হবে।
সন্ধ্যার শেষে কালো অন্ধকারের বুকে জ্বলন্ত আগুন। তার ওপর লোহার জাল পেতে তৈরি হল পোড়া মাংস শীতের রাতে মন্দ লাগলো না। রাতে রুটি মাংস খেয়ে সোজা টেন্টে। দিনের শান্ত সমুদ্র এখন বেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে রাতের নিস্তব্ধতা কে নিজের গর্জন দিয়ে ভরিয়ে তুলছে।রাতের আকাশ অজস্র তারায় সাজানো। কালপুরুষ, সপ্তর্ষি মন্ডল, আরো বহু তারার মালা আলো করে আছে । একে অপরের থেকে বহুদূরে থেকেও ওরা যেন একে অন্যের পরিপূরক, একই সূত্রে বাঁধা।
টেন্টে থাকার জন্য

// সংযুক্তা ভট্টাচার্য  //

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট