ভরা মৌসুমেও পিকনিক স্পট ফাঁকা


সোমবার,২০/০১/২০২০
7677

পিকনিকের ভরা মরসুমেও পর্যটকের অভাবে ভুগছে গ্রামীন হাওড়ার গড়চুমুক, গাদিয়াড়া, ফুলেশ্বর, মহিষরেখা সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটক না আসায় হতাশ এলাকার হোটেল মালিক থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা। পর্যটক কম আসার কারণ হিসাবে তারা দায়ী করছেন নাগরিকপঞ্জি বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জেরে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া রাজ্যজুড়ে অশান্তিকে। পাশাপাশি লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিকেও দায়ী করছেন অনেকে। যারা আসছেন তারাও আবার কাছাকাছি এলাকা থেকে।

শেষ কবে এই পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে এত কম মানুষ এসেছেন ব্যবসায়ীরা কেউ মনে করতে পারছেন না। অতীতের নজির মাথায় রেখে ২৫ ডিসেম্বর ও ১ লা জানুয়ারি পর্যটনকেন্দ্র গুলিতে ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার রাখা হয়েছিল। গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র হাওড়া জেলা পরিষদ থেকে অতিরিক্ত কর্মী আনা হয়েছিল এদিন। জেলা পরিষদের কর্মী,পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজ না পেয়ে বসেই দিন কাটিয়েছেন।২৫ ডিসেম্বর গড়চুমুককে দেখা গেল বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি রয়েছে। সেখানে বাসের সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি। অন্যান্য বছর দেখা যায় বাসস্ট্যান্ড উপচে গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে রাস্তার উপরে। ডানলপ থেকে পরিবার নিয়ে গড়চুমুকে এসেছিলেন সুজয় সামন্ত।

তিনি বলেন, আমাদের এলাকা থেকে প্রতিবছর বাস রিজার্ভ করে গাদিয়াড়া বা গড়চুমুকে আসা হয়। তবে সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া অশান্তির কারন তার পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বাজেট বেড়ে যাচ্ছিল। তাই অনেকেই আসা বাতিল করে দেয়। লোকজন যে সত্যিই কম তা বোঝা গেল ফুচকা বিক্রেতার কাছ থেকেও। ফুচকা বিক্রেতার সুবীর দলুই জানান, এত কম পর্যটক কোনদিনই চোখে দেখিনি। অন্যান্য বছরের থেকে এ বছর একদমই পর্যটক কম।ব্যবসা হচ্ছে না একদমই। গড়চুমুকের ভ্যান চালক আব্দুল মোল্লা জানান, আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি এই সময়টার জন্য। অন্যান্য বছর প্যাসেঞ্জার বয়ে শেষ করতে পারা যায় না। এবছর ঠিক মতো ‘ট্রিপ’ পাওয়া যাচ্ছে না।

বাগনানের গৃহবধূ সুস্মিতা মন্ডল জানান, এসেছিলেন গাদিয়াড়াতে চড়ুইভাতি করতে। আমরা বিভিন্ন সময়ে এখানে আসি এত কম লোক কোনদিনই দেখিনি। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছর যেভাবে দলে দলে বাস রিজার্ভ করে আসে। গড়চুমুকে ঢোকার তিন কিলোমিটার আগে মোহিনীমোড় এলাকায় ২৫ ডিসেম্বর থেকে ট্রাফিক সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে পুলিশকর্মী সকলকেই। এবছর তো সেরকম কিছুই চোখে পড়েনি।তবে ভীড় যাই হোক না কেন,এলাকা শান্তিপূর্ণ রাখতে ও পরিবেশ দূষণ রোধ করার ক্ষেত্রে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর উদ্যোগ ছিল লক্ষণীয়।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট