“ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল”


শনিবার,০৭/০৩/২০২০
3813

বাংলা এক্সপ্রেস ডিজিটাল ডেস্ক ; ---

শনিবার সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। রোদের ছিঁটেফোঁটা ঝলকও মেলেনি এদিন। সকাল থেকেই বইছে ঠান্ডা হাওয়া। আর তারই মধ্যে এসেছে বসন্ত। এই বসন্তের সমীরনে বাউল বাতাস মুগ্ধ করে সকলকে। আর এই বসন্তকে ঘিরে রচিত হয়েছে অজস্র গান ও কবিতা। এছাড়া কবির কলমে বারবার ধরা দিয়েছে এই বসন্ত উৎসব।  দোলযাত্রা উৎসব শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব নামে পরিচিত।

 

অতীতে শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ে বসন্তের আগমন উপলক্ষে একটি ছোটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নাচগান, আবৃত্তি ও নাট্যাভিনয় করা হত। পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠানটি পরিব্যপ্ত হয়ে শান্তিনিকেতনের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব বসন্তোৎসবের আকার নেয়। ফাল্গুনী পূর্ণিমা অর্থাৎ দোলপূর্ণিমার দিনই শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের আয়োজন করা হয়। পূর্বরাত্রে বৈতালিক হয়। দোলের দিন সকালে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানটির মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

 

সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের কোনো নাটক অভিনীত হয়। দেশ বিদেশের বহু অতিথি এই উৎসবে আসেন, হোলি উৎসব একই সাথে বসন্তের আগমন বার্তাও নিয়ে আসে। সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনের রাস্তা রাঙ্গা হয়ে ওঠে আবিরে। বিশ্বভারতী চত্বরই মূলত এই মূল অনুষ্ঠানের অঙ্গ। সেখানে নৃত্যনাট্যের পাশাপাশি চলে নানা উৎসব। আশ্রমের ছাত্র‌ছাত্রীরা তো থাকেনই। তাছাড়াও থাকেন ভিনদেশি ছাত্র‌ছাত্রীরাও।

 

নেচে ওঠে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরাও। এমনকী বিদেশিরাও। এই বছর করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দোলের দিন শান্তিনিকেতনে বাতিল হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব। শুক্রবার ম্যারাথন বৈঠক শেষে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যার জেরে হতাশ বহু মানুষ। আতান্তরে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

 

অনেকের কাছে এটা নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। এটি মানুষের জন্য ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করা ও নতুন বন্ধু বানাবার উৎসব। মহাসমারোহে এসে গেল বসন্তদিন। বাঙালির অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব হলো পহেলা ফাল্গুন। বসন্ত মানেই তো উৎসব। দেশ, কাল ও ঐতিহ্যভেদে উৎসবও হয় ভিন্ন ভিন্ন। তবে বসন্ত ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে।

 

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট