বাংলাদেশে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হচ্ছে


বৃহস্পতিবার,১২/০৩/২০২০
720

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: প্রায় ৩০ বছর আগের চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরুর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ৯ মার্চ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে চার্জগঠনের শুনানির এদিন ধার্য করেন। ফলে ওইদিন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হলে মামলাটিতে অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে। সোমবার মামলার শুনানিকালে কারাগারে থাকা নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ডা. হাসান আলীর রোগী ও ভারাটে খুনি মারুফ রেজাকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রমনা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী সগিরা মোর্শেদ মেয়েকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আনতে গিয়ে স্কুলের কাছেই রিকশায় থাকাস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সগিরা মোর্শেদ মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বামী আবদুস ছালাম চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

ওই মামলায় মিন্টু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালে ৩ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করে ডিবি। আদালতে বিচারও শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণের এক পর্যায়ে সাক্ষীরা মারুফ রেজা নামের এক ব্যক্তির নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানান। ফলে আদালত পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান মারুফ রেজা। এরপর গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি ২৬ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করেন। সর্বশেষ গত বছর ১১ জুলাই হাইকোর্ট পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরই হত্যার আসল রহস্য বের হতে থাকে। পিবিআই তদন্তে যে রিকশায় সগিরা মোর্শেদ নিহত হয় সেই রিকশাচালক সালামকে খুঁজে বের করেন। রিকশাচালক জানান, ‘নিহত সগিরা হত্যাকারীকে চিনতেন।এ বাক্যই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পিবিআইকে সহায়তা করে। তখন তদন্ত কর্মকর্তার নজর পড়ে সগিরার স্বামীর পরিবারের দিকে। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য।

চার্জশিটে খুনের কারণ হিসেবে বলা হয়, সগিরা মোর্শেদের স্বামীর নাম আবদুস ছালাম চৌধুরী। তার বড় ভাইয়ের নাম সামছুল আলম চৌধুরী। মেজো ভাই চিকিৎসক হাসান আলী চৌধুরী। তিনজনই তাদের পরিবার নিয়ে আউটার সার্কুলার রোডে তখন বসবাস করতেন। সগিরা মোর্শেদরা থাকতেন দ্বিতীয় তলায়। চিকিৎসক হাসান তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীনকে নিয়ে থাকতেন ওই বাসার তৃতীয় তলায়। শাহীন তিন তলা থেকে প্রায় সময় ময়লাআবর্জনা ফেলতেন, যা সগিরা মোর্শেদের পেছনের রান্না ঘর ও সামনের বারান্দায় পড়তো। এ নিয়ে সগিরার সঙ্গে শাহীনের প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো। ওই তুচ্ছ কারণেই শাহীন সগিরাকে শায়েস্তা করার জন্য তাঁর স্বামী হাসানকে দিয়ে তার রোগী তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সন্ত্রাসী মারুফ রেজাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হত্যা করতে রাজী করান। মটরসাইকেলে হাসানের শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান যান। যাতে সগিরাকে সহজে দেখিয়ে দিতে পারেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট