পড়ুয়াদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিল ডিভাইন ব্রেথ


শনিবার,০২/০৫/২০২০
1193

বাবা-মায়ের রুজিরুটি বন্ধ লকডাউনের কারণে। ওদের চোখেমুখে খিদের জ্বালা। অভিভাবকদের কাজ না থাকায় ওদের খিদে মেটানো এখন দুঃস্বপ্ন। প্রশান্ত ঘোষ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন পরিচালিত ফ্রি কোচিং সেন্টারের পড়ুয়াদের এই দুর্দশার খবর শুনে তাদের খাদ্যসামগ্রী পাঠালেন কলকাতার ডিভাইন ব্রেথ সংস্থা। ওই সংস্থার কর্ণধার তথা উত্তর কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেত্রী নীহারিকা মুখোপাধ্যায় প্রায় শতাধিক পড়ুয়ার জন্য খাদ্য সামগ্রী সহ শিক্ষা সামগ্রী ব্যবস্থা করেন। শনিবার নদীয়ার শিমুরালির তাঁতিগাছি গ্রামে প্রশান্ত ঘোষ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনে পড়ুয়াদের হাতে এইসব সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। নীহারিকা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন দুর্গা পুজোর সময়, শিশু দিবসে কিংবা বছরের বিভিন্ন সময়ে এসব পড়ুয়াদের জন্য তিনি সাধ্যমত পাশে থাকার চেষ্টা করেন। করোনা অতিমারিতে শিশুদের পরিবারগুলির সংকটের খবর পেয়ে তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন পাশে থাকার।

এদিন এসব পড়ুয়াদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষিকা শুক্লা বিশ্বাস। নীহারিকা মুখার্জি সহ শান্তনু মুখার্জি, রাজেশ চন্দ্র, তরুণ ব্যানার্জিদের সেবামূলক কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন এই প্রাক্তন শিক্ষিকা।

প্রশান্ত ঘোষ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্রে দুঃস্থ দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয়। নদীয়ার তাঁতিগাছিতে অবস্থিত এই শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র-ছাত্রীদের সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে কলকাতার ডিভাইন ব্রেথ। পুজোর আগে তাদের হাতে যেমন নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয় এই সংস্থার পক্ষ থেকে পাশাপাশি বর্ষাকালে এবং শীতকালেও শিক্ষা সামগ্রী সহ অন্যান্য ভাবে সহযোগিতা করে ডিভাইন ব্রেথ। সংস্থার প্রধান নীহারিকা মুখোপাধ্যায় করোনা অতিমারির এই কঠিন পরিস্থিতিতে এখানকার দুঃস্থ দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করেছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে এই সব পড়ুয়াদের পরিবারগুলি। অভিভাবকরা রুজি রুটি হারানোই একপ্রকার না খেয়েই দিনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তাদের এই দুর্দশার খবর পাওয়া মাত্রই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নীহারিকা মুখোপাধ্যায়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে লকডাউন চলার জন্য তিনি নিজে হাজির হতে না পারলেও প্রশান্ত ঘোষ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

 

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট