সুস্পষ্ট নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে – আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান


রবিবার,১৭/০৫/২০২০
2420

আজ সকালেই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। সেখানেই আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড, আমফান।

আজ সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড় প্রথমে উত্তর-পশ্চিম পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। একইসঙ্গে আগামী 24 ঘণ্টায় বর্ষা ঢুকছে আন্দামান নিকোবরে।পরিস্থিতি অনুকূল থাকায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢুকবে আন্দামান সাগর আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এ।

ঘূর্ণিঝড় অভিমুখ পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গেই আবহাওয়ারও পরিবর্তন হবে এ রাজ্যে। সোমবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। মঙ্গল ও বুধবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে র উপকূলের জেলাগুলিতে। 90 কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইবার আশঙ্কা।উত্তর বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র উত্তাল হবে এবং সমুদ্রের ভেতরে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ 190 কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

আজ সকাল থেকেই আবহাওয়াবিদরা প্রাক ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখছেন। এই গভীর নিম্নচাপের আজ সকালে অবস্থান ছিল দীঘা থেকে বারোশো পঞ্চাশ কিলোমিটার দক্ষিনে। পারাদ্বীপ থেকে 11 কিলোমিটার দক্ষিনে। বিশাখাপত্তনম থেকে 900 কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব। এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে তেরোশো 30 কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে।

আবহাওয়াবিদদের অনুমান উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসার সময় এই ঘূর্ণিঝড় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে(ভেরি সিভিয়ার সাইকেলোনিক স্টর্ম ) পরিণত হবে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের ভেতরে এর গতিবেগ ঘণ্টায় একশ ষাট থেকে 190 কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আবহবিদদের অনুমান। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় 45 থেকে 65 কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর গতিবেগ হবে 90 থেকে 110 কিলোমিটার।সোমবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করার সময় শক্তি সঞ্চয় করে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় একশো কুড়ি থেকে 145 কিলোমিটার হতে পারে।মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে অভিমুখ পরিবর্তন করার পর আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অভিমুখে যাওয়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় 150 থেকে 180 কিলোমিটার হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন।

তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এসে এর অবস্থান কী হবে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান শেষ পর্যন্ত স্থলভাগকে প্রবেশ করবে কিনা কিংবা স্থলভাগের প্রবেশ করলে ঠিক কোন জায়গায় ল্যান্ডফল হবে সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসার পর এরাজ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশংকা। কলকাতা শহর সাত জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মঙ্গল ও বুধবার। কলকাতা হাওড়া হুগলি দুই মেদিনীপুর ও দুই 24 পরগনা। এই সাত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা।গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূলের জেলা উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ঝড়ের গতিবেগ 90 কিলোমিটার হতে পারে। কলকাতা শহর হাওড়া হুগলি পশ্চিম মেদিনীপুর এই জেলাগুলিতেও ঝড় ও বৃষ্টি ব্যাপকতা থাকবে। হালকা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট