আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় মানুষের পাশে মাদ্রাসা শিক্ষা সংগঠন


শুক্রবার,০৫/০৬/২০২০
869

আবারো ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নজির করলো মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠন বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম। করোনা মহামারির মত এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ালো সংগঠন। ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া জেলার মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধ বিতরণ করার উদ্যোগ নিল তারা। বৃহস্পতিবার থেকে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফোরাম। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার সরুপনগর, হাসনাবাদ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

স্বরুপনগরের বারা বাঁকড়া আজিজিয়া হাই মাদ্রাসা ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া গার্লস হাই মাদ্রাসা কেমন করে হাজারের অধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ঔষধ তুলে দেন ফোরামের কর্মকর্তারা। এছাড়াও হাসনাবাদের চাঁপাডালি পুকুর, বৈদ্য পাড়া, হাউলী পাড়া, তিয়ামারি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফোরামের রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল বলেন, রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের একাংশ এবং কিছু শুভানুধ্যায়ী মানুষের সহযোগিতায় আমরা এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব এই মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ইসরারুল ছাড়াও প্রতিটা ক্যাম্পেই উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আগত ফোরামের সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কর্মকর্তা কাইসার রশিদ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির কর্মকর্তারা।
এখানেই শেষ নয়,আগামী আরো কয়েকদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবে এই সংগঠনটি।আজ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। আমফান বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ছাড়াও ওই জেলায় বাইরে রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার পরিবেশন করবে এই সংগঠনটি। শনিবার নদীয়া জেলার কাকদ্বীপ ও নাকাশিপাড়া এলাকার দুটি মাদ্রাসায় ক্যাম্প করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবে ফোরাম।

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বাঁচানোর লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল এই সংগঠনটি। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে যার গুরুত্ব অপরিসীম।এমন একটি সংগঠন যারা শিক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত পাশাপাশি অসহায় দুঃস্থ মানুষদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছে। 2017 সালে মালদায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারকার্যে এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই সংগঠনের কর্মকর্তারা। পরবর্তীকালে কেরালায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে অনুদান পাঠিয়েছিল এই সংগঠনটি। আবারো করোনা থেকে আমফান প্রতি ক্ষেত্রেই অসহায়-দুস্থ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দেখা গেল সেই ফোরামকে।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট