পুরসভার ভোট নিয়ে ফের তৎপরতা,মহামারী আইন শিথিল করে পুজোর আগে ভোট করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন


সোমবার,০৮/০৬/২০২০
600

লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বকেয়া পুরো ভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। করোনার রুখতে দেশজুড়ে জারি থাকা মহামারী আইন শিথিল করে ভোট করানো যায় কিনা সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় কমিশন। খুব তাড়াতাড়ি চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সবার সঙ্গে আলোচনার পর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর জনতা কার্ফুর মধ্যে দিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয় লক ডাউন পর্ব। ফলে পুর ভোট নিয়ে আর কোনো রকম অগ্রগতি হয়নি এই আড়াই মাস যাবত। লকডাউন এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ওই সব পুরসংস্থায় বসানো হয়েছে প্রশাসকমন্ডলী। তাঁরাই এখন ওই সব পুরসংস্থার কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন চলা সম্ভব নয়।

তাই কমিশন চাইছে পুজোর আগে পরে প্রয়োজনে মহামারি আইন শিথিল করে কলকাতা পুরনিগম সহ রাজ্যের অনান্য পুরসংস্থাগুলিতেও নির্বাচন হয়ে যাক। তাতে এই রকমের পরিস্থিতিতে ভোট করা যাবে কিনা সেটা যেমন দেখে নেওয়া যাবে তেমনি বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটা নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠও তৈরি করে নেওয়া যাবে। কোথায় কী ধরনের খামতি থাকছে তা দেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিটা করে নিতে পারবে।

রাজ্য সরকারকে মহামারি আইন শিথিলতার জন্য চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন চাইছে একটা সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সব রাজনৈতিক দলগুলির মতামত নিতে। বিশেষ করে প্রচারের ক্ষেত্রে কতটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে ভিড় এড়াতে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে চায় কমিশন। এরই পাশাপাশি তাঁরা ভোট কীভাবে হবে তা নিয়েও আলোচনা চালাতে চায়। মানে ইভিএমে না ব্যালট পেপারে। যদিও রাজ্য সরকার চায় ভোট হোক ব্যালট পেপারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবশ্য ইভিএম ও ভিভিপ্যাট ব্যাবস্থা করতে রেখে দিয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার ব্যালট পেপারে ভোট চাইলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিরোধের পথে নাও হাঁটতে পারে।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট