বৃহস্পতিবার ও শনিবারের ‘সর্বাত্মক বন্‌ধের’ ছবি ফিরল বুধবারও


বুধবার,২৯/০৭/২০২০
739

ঝাড়গ্রাম:– বৃহস্পতিবার ও শনিবারের ‘সর্বাত্মক বন্‌ধের’ ছবি ফিরল বুধবারও। পুলিসের কড়া শাসনে ‘কমপ্লিট’ লকডাউন ফের স্তব্ধ করল জেলাকে। ঘরবন্দিই থাকলেন কোভিড-ত্রস্ত জেলাবাসী। উর্দিধারীদের আঁটসাঁট নজরদারি উপেক্ষা করার সাহস দেখাননি প্রায় কেউই। ফলে, বুধবারের রাস্তাঘাট জন-মানবশূন্য। শুনশান বাজার-হাট, অফিস চত্বরও। সংক্রমণের চেন ভাঙার জন্যই হপ্তায় দু’দিন এমন কঠোর লকডাউনের কৌশল নিয়েছে নবান্ন। সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। এই গ্রাফকে এক জায়গায় ঠেকিয়ে তারপর নীচের দিকে নামিয়ে আনাটাই আপাতত প্রথম লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের।

পুরো রাজ্যে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তখন ঝাড়গ্রামের অবস্থা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে এখানে নতুন করে কোনও আক্রান্তের খবর নেই। এই অবস্থায় বুধবার রাজ্যব্যাপী লকডাউনে কড়া নজরদারি দেখা যায় ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায়।ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের ধড়সা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওড়ো এলাকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউন সফল করতে এই সীমানা জুড়ে বুধবার সকাল থেকে চলছে কড়া নজরদারি। মোতায়েন করা হয়েছে জামবনি থানার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী।সীমানায় কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে গেলে গাড়ির চালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। কেন তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছেন সে ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে হয় পুলিশের কাছে। উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে তবেই যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া যায়।

এদিন সকাল থেকে ঝাড়গ্রামের রাস্তাঘাট ছিল শুনশান । দোকানপাটও বন্ধ ছিল। কোথাও বাজার বসেনি। ঝাড়গ্রাম শহরের প্রধান সবজি বাজার এবং মাছের বাজার এদিন বন্ধ ছিল। তবে ওষুধের দোকান খোলা ছিল।শহরের গুরুত্বপূর্ণ জুবিলি মার্কেট ও বন্ধ ছিল এদিন। কোর্ট রোডের বাজারও বন্ধ ছিল। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ ঝাড়গ্রাম শহরে ঢোকার মুখে ব্যারিকেড করে দেয়। ঝাড়গ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল।
ঝাড়গ্রাম শহরের পাশাপাশি নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর, বেলিয়াবেড়া, লালগড়, বিনপুর, জামবনি, শিলদা, বেলপাহাড়ি প্রভৃতি এলাকাও এদিন শুনশান ছিল।রাস্তা বেরনো বাসিন্দাদের জেরা করে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সহ মোট সাড়ে চার হাজার পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট