এদিন মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তিনি ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন। তারপর সেখান থেকেই সরাসরি দুপুর বেলা চলে যান রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার এর কাছে। রাজভবনে রাজ্যপাল সেখানে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন ।রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান অনেক ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়লাম। আড়াই বছর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ।যখন সেচমন্ত্রী ছিলেন এবং সেচ দপ্তর থেকে হঠাৎই তাকে বদলি করে দেওয়া হয় অন্য দপ্তরে এবং সেই সময় তিনি উত্তরবঙ্গে সেচ দপ্তরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময তিনি টিভির পর্দায় দেখতে পান তাকে অন্য দপ্তরে বুদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। তখনই ভীষণভাবে ব্যথিত হন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে আজ সেই কথা জানান তিনি এবং বলতে-বলতে আবেগ তারাত হয়ে পড়েন তিনি। এবং জানান তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন এবং দলের এক কর্মী হযে শুধুমাত্র কাজ করবেন। পাশাপাশি তিনি জানান তাকে অন্য দপ্তরে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকেই সৌজন্যবোধের একটা ফোন পর্যন্ত করেনি ।এর পাশাপাশি তিনি জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ এমনকি তিনি তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন সমস্ত সতীর্থদের কাছে তিনি অনেক বেশি সাহায্য পেয়েছেন । তবে কারও বিরুদ্ধে তার কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। যখন তিনি যে দপ্তরে ছিলেন সেখানে পূর্ণতা সঙ্গে এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেও এদিন তিনি আরো একবার জানিয়েছেন।
তিনি সব সময় চেয়েছেন মানুষের উন্নয়নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একদম তৃণমূল স্তরে গিয়েই কাজ করতে এবং আগামী দিনে তাই করবেন বলেও এদিন তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানান আগামী দিনে তিনি কোন রাজনৈতিক দলে থাকুন বা না থাকুন মানুষের জন্য তিনি সবসময় ব্রতী হবেন। মানুষের পাশে তিনি থাকবেন বলেও জানিয়েছেন ।তবে সর্বশেষে তিনি বলতে বলতে আবেগ তাড়িত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান এমনও দিন তাকে দেখতে হবে তিনি ভাবতেও পারেননি। তার কাছে এই দিনটি সবথেকে বেদনাদায়ক দিন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের জানান।
Auto Amazon Links: No products found.